বৈঠক বিতর্কে মমতার ৯ বিবৃতিকে নিশানা কেন্দ্রের, কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

  • কলাইকুণ্ডা বৈঠক বিতর্কে এবার পাল্টা কেন্দ্রের
  • কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৯ বিবৃতি নিয়ে কাটাছেঁড়া
  • এই ৯ বিবৃতিকে ধরে ধরে পাল্টা যুক্তি কেন্দ্রের

Asianet News Bangla | Published : Jun 1, 2021 9:39 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 07:54 PM IST

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বৈঠক বিতর্কে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে। বৈঠক বিতর্ক এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিৃতে ডেকে পাঠানো নিয়ে ২৯ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বেশকিছু দাবি করেন। যার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এমন যুক্তিও খাড়া করেছিলেন যে তাঁকে নাকি অনেকটাই শেষমুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এমনকী তিনি এমন অভিযোগ করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অপেক্ষায় রেখেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমনই বেশকিছু দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরমহলেও চর্চা হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিগুলিকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে মিলিয়েও দেখা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্রের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূলত ৯টি দাবি নিয়ে তাঁরা রীতিমতো প্রধানমন্ত্রীর ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর পর্যালোচনা বৈঠকের যাবতীয় তথ্য মিলিয়ে দেখেছেন এবং সবক্ষেত্রেই তাঁরা বড়সড় অসঙ্গতি পেয়েছেন। এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তিনি বৈঠক স্থল ত্যাগ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সূত্র এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে দাবি, বৈঠকস্থল ছাড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও অনুমতি দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ৯টি দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরে আলোচনা হয়েছে এবং তাঁর উত্তরে যে তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে দেওয়া হয়েছে, তা নিম্নরূপ- 

১। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- 'প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি এবং বৈঠক নিয়ে আমায় দেরিতে জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির জন্য আমাকে আমার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে কাটছাঁট করতে হয়েছিল।'

কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের যুক্তি- ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির একটা স্পষ্ট ধারনা পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি নির্ধারিত হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই এই ধারনা পাওয়া এবং কর্মসূচি নির্ধারিত করে দেওয়াটা সম্ভব ছিল না। ঘূর্ণিঝড় আমফানের সময়ও এইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পর্যালোচনার বৈঠকের বিষয়টি নির্ধারিত হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময়ও প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একই সময় প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। ওড়িশা খুব ভালোভাবেই সমস্ত আয়োজন করে নিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী ওড়িশা-তে গিয়েছিলেন। 

"

২। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আমায় অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হয়েছিল' 

কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের যুক্তি-  কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণ করেছিল দুপুর ১টা বেজে ৫৯ মিনিটে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলাইকুণ্ডায় পৌঁছন দুপুর ২.১০মিনিটে। এটা পরিস্কার যে উল্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এমনকী এক তৃণমূল সাংসদও টুইটে বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষা করাটা খুব একটা বড় বিষয় নয়। এখানেই পরিস্কার যে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সেদিন প্রধানমন্ত্রীকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার যেখানে অবতরণ করেছিল সেখান থেকে বৈঠক স্থলের দূরত্ব ছিল ৫০০ মিটার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কলাইকুণ্ডা ছাড়েন তখন ঘড়িতে দুপুর ২.৩৫ মিনিট। মাত্র ৫০০ মিটার গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ মিনিট সময় সেদিন নিয়েছিলেন! বিষয়টা বড়ই আশ্চর্যের। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী কলাইকুণ্ডা ত্যাগ করার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকে চলে যান। এই ধরনের আচরণ প্রোটোকলের বিরুদ্ধে। এটাও স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অপেক্ষা করিয়েছেন বলে যে বিবৃতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। 

৩। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- 'আমার কর্মসূচি আগেই নির্ধারিত হয়েগিয়েছিল। সবসময় মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়েই যে প্রধানমন্ত্রীকে অভর্থ্যনা জানাতে হবে এমনটা নয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আরও অনেক সময় অন্য প্রোগ্রামও থাকে।'

কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের যুক্তি- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়ে তাঁর সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, বৈঠকে বিরোধী দলনেতা থাকতে পারে এটা অনুধাবন করে তিনি তাঁর মানসিকতা বদলে ফেলেছিলেন। তিনি যে এমনটা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া চিঠিতেও তা উল্লেখ করেছেন মমতা। এখানে এটা পরিষ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুন্ডার বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম কোনওভাবেই বাধা ছিল না। এমনকী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের টুইটও এর প্রমাণ দিচ্ছে। কারণ, রাজ্যপাল টুইটে জানিয়েছেন, বৈঠকের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মেসেজ করেছিলেন। এই মেসেজে মমতা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বিরোধী দলনেতা যদি এই বৈঠকে যোগ দেন তাহলে তিনি তা বয়কট করবেন। 

৪। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- 'প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের অবতরণ এবং তাঁর অবতরণের জন্য সাগরে কর্মসূচি শেষ করেও ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এরপর কলাইকুণ্ডায় পৌঁছেও প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের জন্য ১৫ মিনিট আকাশে চক্কর কাটতে হয়েছিল।'

কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের যুক্তি- আশা করা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী সবার আগে কলাইকুণ্ডা পৌঁছবেন। প্রধানমন্ত্রী আসছেন শুনে যেমনটা প্রোটোকল মেনে হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার পুরো দায়িত্ব এসপিজি-র হাতে। তারা একটি পুরোদস্তুর পেশাদার সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে অপারগ। 

"

৫। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- 'মুখ্যসচিবের বদলি নিয়ে যেভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে সত্যি আমি বিস্মিত। আমার এবং রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই নির্দেশিকা বের করে দেওয়া হল। আইনি দিক থেকে এই নির্দেশ অকার্যকর, নজিরবিহীন এবং অসাংবিধানিক।'

কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের যুক্তি- পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নির্দেশ পুরোপুরি সাংবিধান মেনেই হয়েছে, কারণ তিনি অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের একজন অফিসার। তিনি সংবিধান নির্দেশিত কর্তব্য পালনে অস্বীকার করেছেন, যার জেরে বৈঠকস্থলে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিসাররা প্রধানমন্ত্রীকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে কোনও ধরনের প্রেজেন্টেশন দিতে অস্বীকার করেছিলেন। মুখ্যসচিব পদ থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ প্রমাণ করছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্টই ব্যাক-ফুটে রয়েছেন। মমতা জানতেন, যে তৎকালীন মুখ্যসচিবের আচরণ তাঁর বিরুদ্ধে যেতে পারে। এমনকী, তৎকালীন মুখ্যসচিবের আচরণের বিরুদ্ধে যে কেন্দ্র কড়া পদক্ষেপ করবে তা ভালোমতোই বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এই কড়া পদক্ষেপ যে অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের বর্ণিত কর্তব্য পালনের খেলাপের ধারাতেই হবে তাও জানা ছিল মমতার। প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে যাতে সময় মেনে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার পুরো দায়িত্ব তৎকালীন মুখ্যসচিবের পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি।  অল ইন্ডিয়া সার্ভিসে থাকা অফিসাররা ঘৃণ্য রাজনীতির দাসবৃত্তি করবেন এমনটা আশা করা যায় না। মমতা সমস্তটাই জানতেন এবং তাঁকে রক্ষা করতেই পদত্যাগের নাটক খেলা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিশাল ইউ-টার্ন নিয়েছেন। যেখানে তাঁর সরকার একদিকে তৎকালীন মুখ্যসচিবের অবসরকালের সীমা ৩ মাসের জন্য বৃদ্ধির আবেদন করে অন্যদিকে এখনই তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে অবসরে পাঠিয়ে দেয়। 

৬। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিশাল ইউ-টার্ন নিয়েছেন। যেখানে তাঁর সরকার একদিকে তৎকালীন মুখ্যসচিবের অবসরকালের সীমা ৩ মাসের জন্য বৃদ্ধির আবেদন করে অন্যদিকে এখনই তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে অবসরে পাঠিয়ে দেয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি- সম্প্রতি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসরের মেয়াদকাল বাড়ানোর বিষয়টি ভারতও সরকারও মেনে নিয়েছিল। অতিমারির এই সঙ্কটে রাজ্যের মানুষ যাতে বিপদে না পড়েন সেই কারণে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসরের মেয়াদকালের বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনে সিলমোহরও দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। তবে, শর্ত দেওয়া হয়েছিল কোনওভাবেই যেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ পক্ষপাতমূলক না হয়। এমনকী, তিনি কেন্দ্রকে যথেষ্ট পরিমাণে সহযোগিতা করবেন সে শর্তও দেওয়া হয়েছিল। 

"

৭।  কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- 'বৈঠকের অংশগ্রহণকারীদের তালিকাকে রিভাইজড করানো হয়েছিল যাতে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ককে সেখানে রাখা যায়। প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে এই নেতার উপস্থিত থাকার কোনও অধিকার নেই। বৈঠকে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকা নিয়ে আমি আপত্তি জানাইনি।'

কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি-  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিধায়কের কথা বলছেন তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কবলিত এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এমন এক উদাহরণ রয়েছে যেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যসরকার নেই সেখানে এমন ধরনের বৈঠকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থেকেছেন। 


৮। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা রাজ্য সরকারের এক অফিসারকে মুখ্যসচিব মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। ওই অফিসার যাতে বৈঠকের পুরো বিষয়টি দেখভাল করেন সে ব্যাপারে মুখ্যসচিব ওই মেসেজে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও আমরা কোনও পজিটিভ রেসপন্স পায়নি। আমাদের নিরাপত্তা উপদেষ্টাও এসপিজি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এই নিয়ে।'

কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি- বিরোধী দলনেতা বৈঠকে যোগ দেওয়ায় যেনতেন প্রকারে তা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি করা হয়নি। কারণ, এক ঘোর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে এক ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিশাল এলাকা ও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাদের কাছে সাহায্য যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া এবং তাঁদের দুঃখদুর্দশাকে দ্রুত দূর করাটাই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ছিল। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানোও হয়েছিল পর্যালোচনা বৈঠক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলবেন। উচিত ছিল পর্যালোচনা বৈঠক শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা না করে তাঁর অফিসারদের বৈঠকে থাকতে তো দেননি, উল্টে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দিয়েছিলেন। 

"

৯। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন- মমতার দাবিতে- ' রিপোর্ট জমা দিতে মুখ্যসচিবকে সঙ্গে করে আমি বৈঠক কক্ষে প্রবেশ করেছিলাম।  প্রধানমন্ত্রী নিজে আমার হাত থেকে রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন। এরপর দিঘাতে আমার পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম রয়েছে তা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিদায়ের অনু্মতি চেয়েছিলাম। আপনি নিজেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন।'

কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি- প্রধানমন্ত্রী কোনওভাবেই এই অনুমতি দেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও অনুমতি ছাড়াই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। 

"

Share this article
click me!