কালীপুজোর মন্ডপ ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ালো উত্তেজনা। এছাড়াও চলল তুমুল মারধর।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ছায়া খোদ বাংলায় (West Bengal)। কালীপুজোর (Kalipuja) মন্ডপ ভাঙচুরকে(Mandap Vandalized) কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ালো উত্তেজনা। এছাড়াও চলল তুমুল মারধর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা খড়দহ (Khardah) রাস কোলাঘাটে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে কালী পুজো চলাকালীন খড়দহ রাসকোলা ঘাটের তরুণ সমিতি ক্লাবে কুড়ি জন দুষ্কৃতী দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুরুষ-মহিলা থেকে শিশুরাও রেহাই পায়নি দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের হাত থেকে। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে খড়দহ থানায়। এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি
এদিকে, দুর্গাপুজোর সময়েও বাংলাদেশে অশান্তির সৃষ্টি হয়। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশে চলা হিংসায় মারা গিয়েছেন ৬জন। যার মধ্যে ৪জনই মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রচুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। তার মোকাবিলা করেছে শেখ হাসিনা সরকার। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনও মন্দির ভাঙা হয়নি। তবে দেবতা মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এই প্রতিটি ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
দূর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে রীতিমত অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ । প্রতিবেশী এই দেশে কুমিল্লা থেকে শুরু করে নোয়াখালি -- বিক্ষিপ্তভাবে আক্রান্ত হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রায় ৩০ জনকে। পীরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য দায়ি--তেমনটাও দাবি করছে বাংলাদেশ প্রশাসন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। সেদেশের প্রশাসনের মতে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলত পোস্টও এই হামলার জন্য দায়ি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।