'তৃণমূল জিততে পারবে না জেনেই নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে', এদিন সোনামুখী পুরসভায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে রবিবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে প্রয়াণে বললেন,'অভিভাবকতুল্য ছিলেন।'
'তৃণমূল জিততে পারবে না জেনেই নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে', এদিন সোনামুখী পুরসভায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)। এদিকে রবিবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে প্রয়াণে বললেন,'অভিভাবকতুল্য ছিলেন।'
'এদেরকে জেতানোর দায়িত্ব পুলিশের'
সোনামুখী পুরসভায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কিছু জায়গায় তৃণমূল জিততে পারবে না জেনেই নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। নির্দল প্রার্থীদের জিতিয়ে দলে নিয়ে নেওয়া হবে। মানুষের ভোটে তারা জিতে গেলে গননা কেন্দ্রেই তাঁদের দলে নিয়ে নেওয়া হবে। কিছু জায়গায় বিরোধী ভোট কাটার জন্য নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। তৃনমূল দলে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সকলেই কিছু কামানোর তালে আছে। টিকিট পেয়ে গেলে পাঁচ বছর ধরে তাঁরা কামাতে পারবে। আর এদের জেতানোর দায়িত্ব পুলিশের।'
আরও পড়ুন, ফের বিধানসভার অধিবেশন ঘিরে জল্পনা, রাজ্যের পাঠানো সুপারিশ কী কারণে ফেরত পাঠালেন ধনখড়
'ভোট লুঠ করে জিতেছে'
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, শাসকদল বিরোধীশূন্য ভোট করার চেষ্টা করছে। তারা ভোট লুঠ করার চেষ্টা করছে। বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে মনোনয়ন করতে দেয়নি সেখানে জিতেই গেছে শাসক দল। যেখানে মনোনয়ন করা হয়েছে সেখানে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশও ডেকে ডেকে ধমক দিচ্ছে।
উদয়ন গুহর ভাষা আমরা জানি। এজন্য লোকসভার সময় মানুষ তাকে হারিয়েছিল। বিধানসভাতেও আমরা জিতেছিলাম। পরে ভোট লুঠ করে জিতেছে। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত জেলা কোচবিহার। ব্যাপক সন্ত্রাস তৈরী করার চেষ্টা চলছে। সরকারি দলের বিধায়ক যদি একথা বলে আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শোনে তাহলে এরাজ্যে গনতন্ত্র কোথায়, তৃনমূল নেত্রী সিএএ-র বিরোধীতা করেছে। এটাতো সংবিধানের বিরোধীতা। তাঁকে কে দেশটাকে এক রাখার ঠিকা দিয়েছে? যিনি বাংলাদেশ আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন তাঁর একথা বলার অধিকার নেই।
'অভিভাবকতুল্য ছিলেন সাধন পান্ডে'
অপরদিকে, সাধন পান্ডে প্রয়াণে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সিনিয়ার ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের জন্য পরিষেবা দিয়েছেন। মাথার উপরে সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকতুল্য ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া দুঃখের। অভিভাবকদের চলে যাওয়াটা রাজনৈতিক শূন্যতা।' রবিবার ফের তথাগত রায়ের টুইট প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, বিয়ে বাড়ি ও নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে সবার সঙ্গে দেখা হয় কথা হয় সমাজের সাথে মিশে থাকি আমরা। যারা অসামাজিক তাদের চিন্তা থাকে। আমরা প্রকাশ্যে মানুষের সাথে মিসে থাকি রাত্রি বেলায় কারোর সঙ্গে গোপনে দেখা করি না। যাদের জন্য এটা ঝুকি তারা চিন্তা করুক আমি ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করতে ভালোবাসি। তথাগত রায়ের টুইট প্রসঙ্গে এমনি প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোনামুখী কে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করে বিষ্ণপুর শহরে প্রচারে এসে সাংবাদিকদের করা তথাগত রায়ের টুইট প্রসঙ্গে এই কথা জানান দিলীপ ঘোষ।