চিত্র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে পুলিশ, জানিয়ে দিলেন অভিযোগকারী প্রিসাইডিং অফিসার। জামিন পেলেন বিজেপি প্রার্থী রশ্মি দে।
চিত্র সাংবাদিকের (Photo Journalist ) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে পুলিশ (Police)), জানিয়ে দিলেন অভিযোগকারী প্রিসাইডিং অফিসার। জামিন পেলেন বিজেপি প্রার্থী রশ্মি দে। তবে সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক সহ ধৃত তিন সিপিএম নেতার জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে চিত্র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন জেলার সাংবাদিকরা। এদিকে অভিযোগকারী প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ লিখতে বাধ্য করেছে।
রবিবার পুরসভা নির্বাচনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অমল স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৭ নম্বর বুথে ইভিএম ভাঙার বিরুদ্ধে পুলিশ গ্রেফতার করে সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিককে। দলীয় প্রার্থীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ সহ তিন জন। তাদের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। তবে বিজেপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রশ্মি দে’র জামিন মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক শিউলি রায়। কিন্তু বিজেপির ডাকা বন্ধের কারণে আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ছিল এদিন। ফলে বেলবন্ড জমা না হওয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। রশ্মি দে বলেন, “আমাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমি ভোট দিতে গিয়েছিলাম। সে সময় কিছু বহিরাগত লোক ছাপ্পা মারতে বুথের মধ্যে ঢুকে পরে। আমি ছাপ্পা রুখতে ইভিএম বাঁচাতে গিয়েছিলাম। পুলিশ প্রিজাইডিং অফিসারকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা লিখিয়ে নিয়ে গ্রেফতার করেছে। আইনি পথেই আমি এই লড়াই লড়ব”।
এদিকে ইভিএম ভাঙার অভিযোগে ধৃত সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিকের সঙ্গে একই মামলায় পুলিশ জড়িয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক সব্যসাচী ইসলামকে। এর প্রতিবাদে সোমবার রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযোগকারী প্রিজাইডিং অফিসার পরেশ নাথ কোনাই বলেন, “সে সময় আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। পুলিশ আমাকে বয়ান বলে দিয়ে অভিযোগ লিখতে বাধ্য করেছে। পুলিশের কথা মতো আমি অভিযোগ লিখেছি। সেই অভিযোগ দ্বিতীয়বার পড়ে আমি মানসিকভাবে আরও ভেঙে পরি। সব্যসাচীকে কোন কিছু করতে আমি দেখিনি। সব কিছু লেখা হয়েছে পুলিশের কথা মতো। ওই অভিযোগ লেখার পর আমি রাত্রে ঘুমোতে পারিনি”। অন্যদিকে সঞ্জীব মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “উনাকে আমি ছিনি না। কারণ আমি বাইরের লোক। আমাকে যেভাবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে সেভাবে লিখেছি। তবে ঘটনার সময় বুথের মধ্যে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিল। তারা কারা জানি না”।