'কাঁথি থেকে শিলিগুড়ি হেরেছে শুভেন্দু অধিকারী', শুভেন্দুকে ভরাডুবির উপহার জনতা শাড়ি পাঠালেন সুরজিৎ। তবে যার কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাকে নির্বাচনে ভরাডুবির পুরস্কার দিতে ভুললেন না হাওড়া সদর বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুরজিৎ সাহা।
'কাঁথি থেকে শিলিগুড়ি হেরেছে শুভেন্দু অধিকারী', শুভেন্দুকে ( Suvendu Adhikari ) ভরাডুবির উপহার জনতা শাড়ি পাঠালেন সুরজিৎ। পদ্মবন ছেড়ে অধুনা ঘাসফুলের কানন ফুটেছেন অনেকদিন। তবে যার কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাকে নির্বাচনে ভরাডুবির পুরস্কার দিতে ভুললেন না হাওড়া সদর বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুরজিৎ সাহা ( Surjit Saha)।
ইতিমধ্য়েই রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচনের ( WB Municipal Elections 2022 Result updates ) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই ফলাফলে সর্বত্র ভারতীয় জনতা পার্টির চিন্হ অব্দি মুছে গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি ওয়ার্ড জিতলেও একটি পৌরসভায় জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। আর তাই নির্বাচনের ভরাডুবির পুরস্কার রূপে শাড়ি, টিপ, হাতের চুড়ি পাঠাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা ও রাজ্য বিজেপির মুখ শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ধরণের সিদ্ধান্ত কেন সেই প্রসঙ্গে সুরজিৎ বলেন,' কাঁথি থেকে শিলিগুড়ি হেরেছে শুভেন্দু অধিকারী। সুরজিৎ দাবি করে বলেন বিধানসভার নির্বাচনের দিন শুভেন্দুকে কর্মী না পাঠালে জিততে পারতেন না। আর তার সবচেয়ে বড় প্রমান হল আজকে কাঁথি পৌরসভাতে গোহারা হেরেছেন। তাই এই জনতা শাড়ি, কানের দুল, কপালের টিপ সমস্ত সামগ্রী আনা হয়েছে। এটা ওনার প্রাপ্য', তাই বলেই দাবি করেন সুরজিৎ।
আরও পড়ুন, কামারহাটিতে বিপুল ভোটে জয়ী মদন মিত্রের পুত্রবধূ, উচ্ছ্বাসে ভাসলেন মেঘনা মিত্র
আরও দাবি করে সুরজিৎ বলেন, 'শুভেন্দু দুটো জায়গাই চেনেন। একজন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও কলকাতা হাই কোর্ট। তিনি বলেন শুভেন্দু সংগঠন তৈরি করতে জানেন না। সেটা তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শিখতে হবে তাকে।' তিনি বলেন ,'মুখ্যমন্ত্রী মানুষের সঙ্গে তার জনদরদী প্রকল্পের মাধ্যমে জুড়ে আছেন।' তাই তার ফলাফল এই ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচনে প্রকাশিত। সুরজিৎ শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন,' যেদিন হাওড়া পৌর নিগম ও বালি পৌরসভার নির্বাচন হবে সেদিন হাওড়ার ৫০টি আর বালির ১৬টি আসনে গোহারান হারিয়ে ম্যাক্সি পড়িয়ে বাড়ি পাঠাবেন।'
উল্লেখ্য সম্প্রতি নারদা-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বহিষ্কৃত হন হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। পৌরনিগমের নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি হাওড়ায় একটি কমিটি গড়েন শুভেন্দু। তা নিয়েই ক্ষুব্ধ ওই বিজেপি নেতা। তা নিয়েই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই সুরজিৎকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সুরজিৎ সংবাদমাধ্যমের সামনে শুভেন্দুকে নিশানা করে প্রশ্ন তুলেছিলেন, 'যে কমিটি শুভেন্দু গঠন করেছেন তাতে দলীয় ‘নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ’ হয়েছে। ওই কমিটিকে ‘ভারতীয় জনতা তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
তার দাবি ছিল, ‘‘যাঁরা দলে থাকবেন কি না তা ই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাঁদের চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। নাম প্রস্তাব করছেন শুভেন্দু। বিজেপি-র তৃণমূলীকরণ তিনি মানবেন না। তিনি ২৮ বছর বিজেপি করেছেন তাই ছ’মাস আগে দলে এসে আমাদের শংসাপত্র দেবেন না বরং ওঁর শংসাপত্র দিতে হবে। নারদাতে ওঁকে যে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাতে উনি সৎ কি না, এই প্রশ্নটা জনগণ থেকে দলের কার্যকর্তা সকলের মধ্যে তৈরি হয়েছে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দুর তৈরি করা কমিটির মাথায় রাখা হয় তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া হাওড়ার রথীন চক্রবর্তী। তাঁকেও নিশানা করেছিলেন সুরজিৎ।