হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মূলত বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জন্য সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু স্থলভূমিতে প্রবেশ করে। এরফরে উত্তর পশ্চিমের শুষ্ক গরম বায়ু কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে না। তুলনায় পশ্চিমের জেলাগুলিতে এই গরম ও শুষ্ক বায়ুর দাপট বেশি থাকে।
চরম খারাপ খবর দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য। একে টানা ৫৫ দিন বৃষ্টি নেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। তারপর কবে বৃষ্টি হবে তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি আবহাওয়া দফতর। গতকালই আবাহাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে যা পরিস্থিতি তাতে এপ্রিল মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আবহাওয়া অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি বৃষ্টি শূন্য থাকবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ২৮-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টি হবে না। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। শনি ও রবিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তব এই কদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার তাপমাত্রাই ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে। উত্তর ও পশ্চিম দিক থেকে আসা শুকনো গরম হওয়ার কারণেই তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। বাতাসে জলীয় বাষ্মেপ তীব্র অভাব রয়েছে। আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল তাপপ্রবাহ হতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম আর বীরভূমে। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর দক্ষিণবঙ্গের মাত্র দুটি জেলা ছাড়া সর্বত্রই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রবল গরম রয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেও। মালদা আর দিক্ষিণ দিনাজপুরে আজ আর কাল তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মূলত বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জন্য সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু স্থলভূমিতে প্রবেশ করে। এরফরে উত্তর পশ্চিমের শুষ্ক গরম বায়ু কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে না। তুলনায় পশ্চিমের জেলাগুলিতে এই গরম ও শুষ্ক বায়ুর দাপট বেশি থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য। এবার বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত থাকলেও তা দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমদিক ঘেঁসে রয়েছে। ফলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু এই দিকে প্রবেশ করতে পারছে না। যে বায়ু আসছে তা ওড়িশা আর ছত্তিশগড় পেরিয়ে আসছে। তাতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যান্ত কম। এই বাতাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। উল্টে দাপট বাড়াতে পারছে উত্তর- পশ্চিম দিক থেকে আসা শুষ্ক গরম বায়ু। তাতে প্রবল গরম যেমন পড়ছে তেমনই প্রবল হচ্ছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি।
আবাহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান পরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ু প্রবাহিত হলে এই রাজ্যে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ঢুকতে পারবে। তাতে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই মে মাসের প্রথম দিকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে বলেও আশা করছে আবহাওয়া দফতর।