এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই এবার ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর-এর কাজ বন্ধ করে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এনপিআর সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। কলকাতা, হাওড়া পুরনিগম ছাড়াও সমস্ত জেলাশাসককে সেই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এনপিআর-এর প্রস্তুতি এবং আপডেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ স্থগিত রাখতে হবে।
নির্দেশিকায় স্পষ্টই লেখা রয়েছে, 'এনপিআর সংক্রান্ত কোনও কার্যকলাপই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদন ছাড়া করা যাবে না। জনজীবন স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই নির্দেশিকা জারি করা হল।' এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার নামে গত কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন এ রাজ্যে এনআরসি বা নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেওয়া হবে না।
দেশ জুড়ে নাগরিক পঞ্জি প্রকাশ করার প্রস্তুতি হিসেবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এনপিআর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই এনপিআর- এর ভিত্তিতেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরআইসি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
এনপিআর- এ সেই বাসিন্দাদেরই নাম রাখা হয় যাঁরা ভারতের মধ্যে কোনও জায়গায় অন্তত শেষ ছ' মাস বসবাস করেছেন অথবা আগামী ছ' মাস বা তার বেশি সময় বসবাস করার পরিকল্পনা করেছেন।
এনপিআর-এর সঙ্গেই দেশে মোট বাড়ির সংখ্যা গণনার কাজও সমান্তরালভাবে হওয়ার কথা। এটাই ২০২১ সালের আদম সুমারির প্রথম পর্যায়ের কাজ। রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা আরজিআই ইতিমধ্যেই ১২০০ গ্রাম এবং চল্লিশটি ছোট ও বড় শহর মিলিয়ে পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের গণনার কাজ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে।