রাজ্যে সরকারি ছুটি, করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে রাখি উৎসবে হাসি ফুটেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মুখে

কালনা ওয়েভার্স অ্যান্ড আর্টিসানস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি - পূর্ব বর্ধমানের কালনায় একটি রাখি তৈরির ক্লাস্টার - দুই বছরের ব্যবধানে রাজ্য সরকারের সাংস্কৃতিক বিভাগ থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ পিস রাখির অর্ডার পেয়েছে।

কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের পরে দুই বছরের বিরতি। অবশেষে এবার সুসময় রাখি তৈরি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েকশো মহিলার। দুবছরের বিরতির পর করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে রাখি তৈরি করছেন এই মহিলারা। এই বছর রাজ্য সরকারের রাখি উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত রাখি তৈরির সাথে যুক্ত মহিলাদের মুখে হাসি এনেছে। রাখি এই বছরের ১১ই আগস্ট উদযাপিত হবে। রাজ্য সরকার সেই দিনটিতে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছে।

কালনা ওয়েভার্স অ্যান্ড আর্টিসানস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি - পূর্ব বর্ধমানের কালনায় একটি রাখি তৈরির ক্লাস্টার - দুই বছরের ব্যবধানে রাজ্য সরকারের সাংস্কৃতিক বিভাগ থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ পিস রাখির অর্ডার পেয়েছে বলে খবর। 

Latest Videos

কালনার রাখি নির্মাতা সরস্বতী আচার্য বলেন- “আমরা গত দুই বছরে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও রাখি তৈরির অর্ডার পাইনি। তাই একটা খারাপ সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলাম। এই রাখি তৈরি করেই অনেক পরিবার অর্থ উপার্জন করে। এই বছর আমরা সরকারের কাছ থেকে রাখির অর্ডার পেয়েছি। আমরা সত্যিই খুশি,”

রাখি ক্লাস্টারের সেক্রেটারি তপন মোদক বলেন “যদিও আমরা বিভিন্ন সংস্থার থেকে অর্ডার নিয়ে কাজ করি, তবু রাজ্য সরকারের অর্ডারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা বড় অর্ডার। আমাদের এই ক্লাস্টারে ৩০০ জন মহিলা কাজ করছেন যারা সরকারী অর্ডার থেকে ভাল পরিমাণে আয় পান”। 

বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাখিকে বাধ্যতামূলক উত্সব হিসাবে চালু করেছিলেন। ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারী ক্যালেন্ডারে রাখি উৎসব আলাদা জায়গা পায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেভাবে এটি উদযাপন করতেন, তার উল্লেখ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাখি উৎসব পালন করার নির্দেশ দেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়ার জন্য রাখি সুতো বেঁধে এই উৎসবটি ব্যবহার করেছিলেন। 

'সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি...', বিহারের রাজনীতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

বিহারে পাশা উল্টে গেল বিজেপির, জানুন নীতিশ-তেজস্বীর রাজনৈতিক সমীকরণ

স্বপ্নে যদি মৃত ব্যক্তি আসে... , এদকমই ভয় নেই- এটি শুভ লক্ষণ, রয়েছে একটা 'কিন্তু '

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সরকারি অফিস, থানা এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন উত্পাদন ক্লাস্টার থেকে লক্ষ লক্ষ রাখি সংগ্রহ করা শুরু করে। প্রতি বছর, পুলিশ কর্মীরা পথচারীদের হাতে বাঁধতে নীল রাখির গুচ্ছ নিয়ে রাস্তায় নামেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলায় কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাব রাজ্য সরকারকে এই উদযাপনকে বন্ধ করে দেয়। এতে রাখি নির্মাতারা রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হন। 

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

‘Bangladesh-কে মারতে হবে না চোখ দেখালেই যথেষ্ঠ’ বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Dilip Ghosh | Bangladesh News
Narendra Modi : 'কুয়েত যেন মিনি হিন্দুস্তান', কুয়েত সফরে এসে কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
Suvendu Adhikari Live: এগরায় জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari