সংক্ষিপ্ত

বিহারের বাসিন্দা তিনি। একাধারে একটা সময় বিহারের জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের ভোট কুশলী হিসেবেই কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর আর সেই কারণেই বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

বিহারের রাজনীতি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তবে ভোট কুশলী হিসেবে নয়। তিনি প্রথমেই জানিয়ে দেন সাধারণ মানুষ হিসেবেই তিনি তাঁর মতামত দেবেন। বিহারের বাসিন্দা তিনি। একাধারে একটা সময় বিহারের জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের ভোট কুশলী হিসেবেই কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর আর সেই কারণেই বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

প্রশান্ত কিশোর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বিহারের মানুষ এনডিএ-র নামে নীতিশ কুমারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। এখন যে সরকার থাকুক না কেন বিহারের জনগণ পাঁচ বছরের জন্য সেই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। একইভাবে গতবার নির্বাচনে বিহারের মানুষ মহাজোটের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই নীতিশ কুমার সঙ্গী ত্যাগ করে বিজেপির হাত ধরে। তারপর পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে। এবারও যেন তেজস্বী যাদবের হাত ধরে নীতিশ কুমারের সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে- সেটাই তিনি আশা করেন। এই অবস্থায় মধ্যবর্তী নির্বাচন হয় তার বোঝা জনগণের ওপরই বর্তাবে। 

প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, তিনি সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছেন, একটি সরকার পাঁচ বছরের জন্য যখন নির্বাচিত হয় তখন যেন সেই সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে। তা না হলে করের বোঝা জনগণের ওপর এসে পড়বে। তিনি আরও বলেন বিহারের রাজনীতিতে তাঁর তেমন কোনও ভূমিকা নেই। গোটা ঘটনা তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি কোনও দলের পক্ষে নন। আবার বিরোধী দলেও নেই। তবে রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে শিবির বদল করছে তা তাঁর কাছে যথেষ্ট বিষ্ময়কর বলেও জানিয়েছেন। 

২০১৫ সালে নীতিশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবের দল একসঙ্গে লড়াই করে বিহারের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বেশিদিন একসঙ্গে থাকেনি। ২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল। কিন্তু সেবছর ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নেতৃত্বে ছিলেন মাত্র ৩২ বছরের তেজস্বী যাদব। তাঁরা পেয়েছিলেন ৭৫টি আসন। একটি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি আর ৪৩ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যায় নীতিশ কুমারের জেডিইউ। কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৯টি আসন। 

আরও পড়ুনঃ

বিহারে পাশা উল্টে গেল বিজেপির, জানুন নীতিশ-তেজস্বীর রাজনৈতিক সমীকরণ
'পথ দেখাচ্ছে বিহার'- বললেন কংগ্রেসের অধীর, লণ্ঠনধারীদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ লালু কন্যার
অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখল ছাত্র, চাকরি খোয়াতে হল সেই অধ্যাপিকাকে