
এমনিতেই করোনা অতিমারীর (Corona Epidemic) কারমে অর্থনীতির অবস্থা টালমাটাল। সাধারণ গরীব মানুষের অবস্থা তো এমনিতেই হিমসিম খাওয়ার মত। কিন্তু খোদ সরকারি দফতরের বিদ্যুৎ বিল জমা (Electric Bill)দিতে পারেনি মাসের পর মাস। টাকা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত চিঠি দিয়ে কড়া বার্তা দিতে হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে, এমন কাণ্ড শুনেছেন কখনও। কিন্তু এমনই ঘটনা ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department)বিলের পরিমাণ জানলেন শুধু চোখ কপালে ওঠা নয়, আকাশ থেকে পড়বেন আপনিও। লাখ নয়, কোটিতে পৌছে গিয়েছে সেই সংখ্যা। তাও আবার ২-৫ কোটি টাকা নয়, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৪৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার তরফে দ্রুত এই বিল মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এত বিল বাকি পড়ল তা নিয়েও সন্দিহান স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তারা।রাজ্যের প্রতিটি জেলা পিছু যোগ করে এই বিলের পরিমাণ। আর আরও আশ্চর্ষের বিষয় হয় সবথেকে বেশি বকেয়া বিল হল অপেক্ষাকৃত অনেক ছোট জেলা দার্জিলিংয়ের। দার্জিলিং জেলার একার বকেয়া বিলের পরিমাণ ১৬.৪০ কোটি টাকা। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে সাফ উল্লেখ রয়েছে, নদিয়া জেলার ৫.০১ কোটি টাকা, হুগলি জেলার ৪.৭০ কোটি, বীরভূমের ২.২২ কোটি টাকা এবং মুর্শিদাবাদের ২.১৬ কোটি টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও মালদহ, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুর্ব মেদিনীপুর জেলার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলও যথেষ্ট বড় অঙ্কের।
রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার পক্ষ থেকে গত ৩০ নভেম্বর প্রথম চিঠি দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরকে। বকেয়া বিল মেটানোর জন্য়। করোনা পরিস্থিতিতে এই পরিমাণ বাকি থাকলে তাদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয়। কিন্তু তারপরও বিল মেটানো হয়নি। বাধ্য হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর শান্তুনু বসু বকেয়া বিল দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি লিখেছিলেন। সোমবার স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকে সব জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের অবিলম্বে বকেয়া বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তুলনায় ছোট দার্জিলিং জেলা একাই কি করে ১৬.৪০ কোটি টাকা বিল করল, তা বিশেষভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। এখন