সোমবার রাজ্য বিজেপির সাংসদরা দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে বিজেপি সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় এক সাংসদ বিষয়টি উত্থাপন করেন।
বাংলা ভাগের আর্জি নিয়ে এবার রাজ্যের বিজেপির সাংসদরা সকলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন। উন্নয়ন ও জনবিন্যাসের স্বার্থে মুর্শিবাদাব ও মালদাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা আবেদন জানিয়েছেই তাঁরা গিয়েছিলেন মোদীর দরবারে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বাকি অংশকে উত্তর-পূর্ব ভারত উন্নয়ন পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনও জানান হয়েছে। এই দাবি কয়েক দিন আগেই করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার রাজ্য বিজেপির সাংসদরা দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে বিজেপি সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় এক সাংসদ বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি মোদীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, যেভাবে দ্রুত এই জেলার জনবিন্যাস পরিবর্তন হচ্ছে ও উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে পড়ছে তাতে এখনই মালদা ও মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত না করলে ভবিষ্যতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি সাংসদদের মন দিয়ে শুনেছেন। কিন্তু তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজ্যের উন্নয়নের বিষয়ে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে তিনি বলেন, 'মানুষের ভরসা পেয়েছি। তাই সুদিন আর বেশি দূরে নয়।' পাশাপাশি বাংলায় কীভাবে বাংলায় আগামী দিনে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।রাজ্য বিজেপির ১২ সাংসদই এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি নিজের সংসদীয় এলাকার কথাও তুলে ধরেন অনেকে।
বাংলা ভাগ ইস্যুতে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে গতকালই বিরোধীদের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'চার মন্ত্রী বলেছেন, উত্তরবঙ্গে ভাগের কথা। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। আসুক বাংলা ভাগ করতে। কী করে রুখতে হয় তা দেখিয়ে দেব। উত্তরবঙ্গ থেকে এত আসন পেল ওরা। তবু বাজেটে কিছু দিল না! এখন আবার বিভাজনের রীজনীতি করছে। ভোট চলে গেলে ভাগাভাগি ইস্যুতে নিয়ে আসা হয়। একজন বলছেন, মুর্শিদাবাদ- মালদা ভেঙে দাও। কেউ বলছেন, অসমের তিনটি জেলাকে নিয়ে নতুন কিছু করো। কেউ আবার উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করতে বলছেন।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।