গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসছে। রবিবার ভাইফোঁটার দিনও এই অভিযোগ উঠল।
রবিবার ভাইফোঁটা উপলক্ষে সারা রাজ্যে বোনেরা তাঁদের ভাইদের কল্যাণ কামনা করেছেন। সেদিনই ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার লক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুই পুরুষের লালসার শিকার হলেন এক প্রৌঢ়া। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। কয়েকদিন আগেই নদিয়া জেলার কল্যাণীতে ভোরবেলা স্বামীর সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক মহিলা। এবার মেমারিতে রাস্তায় আক্রান্ত হলেন প্রৌঢ়া। এই ঘটনায় রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৩ বছরের শিশু থেকে শুরু করে প্রৌঢ়া পর্যন্ত কেউই লালসা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
আক্রান্ত মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরবেলা ভাইফোঁটা উপলক্ষে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন এই প্রৌঢ়া। ভাইকে ফোঁটা দেওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু বাপের বাড়ি পৌঁছতেই পারলেন না তিনি। রাস্তায় তাঁর পথ আটকায় দুই যুবক। তারা এই প্রৌঢ়াকে ধরে জোর করে এক পুকুরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রৌঢ়া। তিনি আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন। সেই চিৎকার শুনে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা একজনকে ধরে ফেলে। অপরজন ছুটে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ধৃত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তল্লাশি চালিয়ে ধৃত যুবকের সঙ্গীকেও ধরে ফেলে পুলিশ। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে।
ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশকে বারবার নেশার ঠেক ভাঙার কথা বললেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও যদি পুলিশ কড়া ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আন্দোলন হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বিবাহিত মহিলাকে কুপ্রস্তাব, রাজি না হতেই ধারালো অস্ত্রের কোপ, পলাতক অভিযুক্ত
ফালাকাটার পর কুমারগ্রাম, ফের আলিপুরদুয়ারে বিকৃত লালসার শিকার নাবালিকা