আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান ধিরে দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়া ও কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে ২২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেস কনফারেন্সকরে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বললেন আন্দোলনকারীরা দিনভর তাণ্ডব চালিয়ে গেছে। এই আন্দোলন ছাত্রদের নয় বলেও দাবি করেছে রাজ্য প্রশাসন। আগে থেকেই রাজ্য পুলিশ দাবি করেছিল এয নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেও আন্দোলনকারী সংগঠন অভিযানের কোনও অনুমতি চায়নি। তাই এই অভিযান ছিল বেআইনি আর অবৈধ। অভিযান আটকাতে সোমবার থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি সুপ্রতিম সরকার বলেন, 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে বে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম অশান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন। এই আন্দোলন কখনও বাংলার প্রকৃত ছাত্রসমাজের হতে পারে না।' তাঁর কথায় এই আন্দোলন ছিল দুষ্কৃতীদের।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, নবান্ন অভিযান থেকে ১২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারমধ্যে ১০৩ জন পুরুষ ও ২৩ জন মহিলা। রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৯৪ জনকে। নবান্ন অভিযান রুখতে ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সুপ্রতিম। তিনি বলেন, হাওড়া স্টেশন থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আন্দোলন যে একটি চক্রান্ত ছিল তার তথ্যও তাদের হাতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন আন্দোলনকারীদের খুন করতেও বলা হয়েছিল। এই সবকিছুর উপযুত্ত তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে বলেও জাবি করেন। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান ব্যর্থ করতে প্রথম থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় ছিল ব্যারিকেড। কিন্তু তারপরেও আন্দোলন কতটা শান্তিপূর্ণ ছিল তা সকলেই দেখেছে বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের পুলিশ কর্তারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কর্মব্যস্তি দিনে ইট পাথর নিয়ে আন্দোলন করা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পাল্টা বলা হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ ধৈর্য্য ও সংযমের পরীক্ষা দিয়েছে। সুপ্রতিম সরকার আরও বলেন, কারা আন্দোলন করেছে। কারা ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছে - তার সবকিছুই রাজ্যের মানুষ দেখেছে। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিন তিনি সকাল ৮টা থেকে রাস্তায় ছিলেন। ১১টা নাগাদ ইটবৃষ্টি শুরু হয়। তাদেরও উস্কানি দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন আগামিকাল বিজেপির ডাকা বনধ নিয়েও ক়ড়া বার্তা দিয়েছেন সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, বিভিন্ন আদালতের নির্দেশ রয়েছে। বনধ ডাকা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই প্রশসনের তরফ থেকে সবরকম বন্দোবস্ত থাকবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।