আজ শেষ হল 'দুয়ারে সরকার'-এর পঞ্চম সংস্করণ । শুরু হয়েছিল ১ নভেম্বর থেকে। এটি শেষ হয়েছে আজ অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ৮২ হাজার ৩৪৫টি ক্যাম্প করা হয়েছিল রাজ্য জুড়ে।
বছরের শেষ 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পতেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে। শনিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, 'দুয়ারে সরকার'প্রোগ্রামের পঞ্চম সংস্করণে ১ কোটি ৭ লক্ষেরও বেশি নাগরিক আবেদন করেছে। বিপুল পরিমাণ নাগরিক সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধে পেয়ে যে আগ্রহী বলেও রাজ্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
'দুয়ারে সরকার'-এর পঞ্চম সংস্করণ শুরু হয়েছিল ১ নভেম্বর থেকে। এটি শেষ হয়েছে আজ অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ৮২ হাজার ৩৪৫টি ক্যাম্প করা হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। যার মাধ্যে ৮২.৩৮২ বা ৩৪. ৫ শতাংশই ছিল মোবাইল ক্যাম্প। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে প্রায় ৯৭ লক্ষ নাগরিক এই শিবিরগুলিতে রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাওয়ার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেয়েছেন। মোবাইল ক্যাম্পে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ।
রাজ্যের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে, সবথেকে জনপ্রিয় স্কিমগুলি হল-
বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প- আবেদনকারীর সংখ্যা ৩৫ লক্ষ
স্বাস্থ্য স্বাথী প্রকল্প- আবেদনকারীর সংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি
কৃষক বন্ধু প্রকল্প- আবেদনকারীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ৩৪ হাজার
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প- আবেদেনকারীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৬১ হাজার
দুয়ারে সরকার- ক্যাম্পগুলিতে বিভিন্ন পাট্টার জন্য ১ লক্ষ ২ হাজারের বেশি মানুষ আবেদন করেছেন। দুয়ারে সরকার পাবলিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম - ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি (MeitY) মন্ত্রকের ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২-এর কেন্দ্রীয় মন্ত্রনালয়, বিভাগ এবং রাজ্যগুলির বিভাগে প্ল্যাটিনাম পুরস্কারও পেয়েছেন। দুয়ারে সরকারের পঞ্চম সংস্করণে রাজ্যের নেতৃত্বে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ছিল কিন্তু পরবর্তীতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন এবার থেকে সরকারই যাবে মানুষের কাছে। রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে সরকারি প্রকল্পের সুবিধে যাতে রাজ্যের সকল নাগরিক পান। আর সেই উদ্দেশ্যেই দুয়ারে সরকার প্রগ্রাম চালু করেছিলেন তিনি। মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের কাছে সহজে সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পৌঁছে দেওয়া।