কলকাতার আলিপুরের ধনধান্যে অডিটোরিয়াম হলে ‘শৌর্য পদক ২০২৩’ শিরোপায় ওই ৮ পুলিশ আধিকারিককে এই সম্মাননা প্রদান করবেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
দেশের একাধিক রাজ্যে জাল বিছিয়ে রাখা জঙ্গি সংগঠন দমনে বীরত্ব প্রদর্শন। শৌর্য পদক (SHAURYA PADAK) পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের ৮ জন পুলিশ আধিকারিক। ২৬ জানুয়ারি দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে, ২৫ জানুয়ারি কলকাতার আলিপুরের ধনধান্যে অডিটোরিয়াম হলে ‘শৌর্য পদক ২০২৩’ শিরোপায় ওই ৮ পুলিশ আধিকারিককে এই সম্মাননা প্রদান করবেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
৮ জন পুলিশ আধিকারিক হলেন, বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরাগ ঘোষ, রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-র ডিএসপি অভিষেক চক্রবর্তী, পুরুলিয়া মফস্বল থানার আইসি সৌম্য চট্টোপাধ্যায়, বীরভূমের সাব ইন্সপেক্টর সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর বৈদুর্য্য ঘোষ, রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তিন সাব ইন্সপেক্টর বনশোভন ঘোষ, শান্তনু মণ্ডল, জাকির হোসেন।
এই আধিকারিকরা বর্তমানে কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও সেই সময় রাজ্যের এসটিএফ-এ কর্মরত ছিলেন। আল-কায়েদা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট মডিউলে কাজ করা ওই জঙ্গি সংগঠনের ৪-৫ জনকে গ্রেফতার করে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বড়সড় সাফল্য পায়। ধৃতদের কাছ থেকে নানান নথিপত্র-সহ জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ সম্বন্ধে বহু তথ্য হাতে পায় এই এসটিএফ। এই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অধীনে থাকা ‘এন্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড’ বা এটিএস এই কাজ করে।
সেই সময় এটিএসের ওসি ছিলেন বর্তমানে পুরুলিয়া মফস্বল থানার ইন্সপেক্টর সৌম্য চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরাগ ঘোষের তত্ত্বাবধানে এই কাজ হয়।
সেই সময় ওই জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও অসম, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্রে চলছিল বলে অভিযোগ। এই খবর রাজ্যের এসটিএফের কাছে আসার পরেই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়। এমন অসামান্য কাজের জন্যই রাজ্যের শৌর্য পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। রাজ্যের এসটিএফ অতীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের দ্রুত কিনারা এমনকি দমন করে দেশেরও নজর কেড়েছে।