
Jalpaiguri News: এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত। এবার খোদ সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে উঠল পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরি করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে, জলপাইগুড়ির মালবাজার থানায়। ঘটনায় থানার মধ্যেই গ্রেফতার সিভিক ভলেন্টিয়ার।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম মনিরুল ইসলা। তার বিরুদ্ধে থানার ভিতরেই ভুয়ো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে (Jalpaiguri News)। যদিও থানার ভিতরে বসে কীভাবে ওই ব্যক্তি এই ধরনের কাজ করত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সংশ্লিষ্ট থানা।
সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীতে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগে। আবেদনকারীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। অনলাইনে নির্ধারিত সময়সীমা মেনে আবেদন করতে হয়। এরপর ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ হলেই তবেই মেলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। অভিযোগ, অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম এই প্রক্রিয়া না মেনে অফলাইনে মোট ২২ জনের ভুয়ো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করে দিয়েছিল। গোটা বিষয়টি কেউই জানত না। জানা গিয়েছে, রবিবার কয়েকজন যুবক পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে থাকা পিনকোড সংশোধনের জন্য থানায় গিয়ে আবেদন জানান। তারপরই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
থানা থেকে এমন কোনও সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি বলে জানানো হয়। এরপরই সন্দেহ দানা বাঁধে। ওই যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, মোটা টাকার বিনিময়ে ওই জালিয়াতির কারবার চালাচ্ছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার মনিরুল ইসলাম। সেদিন রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মালবাজার থানার পুলিশ। কতদিন ধরে সে এই কাজ চালাচ্ছিল তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কত ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরি করেছে সে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। শুধু তাই নয়, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত? থানার কেউ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কীনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মালবাজার থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।