আরজিকরকাণ্ডে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র! বারবার ফোনে কথা সন্দীপ ও টানা থানার ওসির, একসঙ্গে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?
আরজিকরকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র! ঘটনার দিন কথা হয়েছিল টালা থানার ওসি ও সন্দীপ ঘোষের। তথ্য লোপাটের জন্য ইতিমধ্যে দু'জনকেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডল দুজনে কথা বলেই সেদিন তথ্য প্রমাণ লোপাট করা চেষ্টা করেন রবিবার এমনই অভিযোগ করেছে সিবিআই। দুজনের মধ্যে যে ভাল মতোই যোগসাজশ রয়েছে তা নিয়েও আন্দাজ করছে সিবিআই। এই ধর্ষণ ও হত্যায় ভয়াবহ কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেই মত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের।
রবিবার দুজনকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করাও হয়েছে। এদিন টালা থানার ওসির ভুমিকা প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, " সকাল ১০ টায় খবর পেলেও রাত ১১.১৩ নাগাদ অভিযোগ দায়ের করা হয় কেন? এফআইআর দায়ের করতেই এত দেরি কেন? কাকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন ওসি? এই সময়ের মধ্যে বহু তথ্য লোপাট হয়ে গিয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে"
টালা থানা থেকে আরজিকরের দূরত্ব মেরে কেটে এক কিলোমিটার। কিন্তু এই টুকু দূরত্বের মধ্যে থাকলেও এফআইর করতে এত সময় লাগলো কেন। বারবার এই প্রশ্নই করা হয়েছে সিবিআইয়ের আইনজীবীর তরফে।
পাশাপাশি সিবিআইয়ের রিম্যান্ড লেটারে উল্লেখ রয়েছে যে, মৃত তরুণাকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করা হওয়ার পরেও এফআইআর এ তাকে অচৈতন্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মনে।
অন্যদিকে টালা থানার ওসির আইনজীবী এদিন সওয়াল করেন, দেরিতে এফআইআর দায়ের করার কথা সত্যি বলে ধরে নেওয়া হয়, তাহলেও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যা জামিন যোগ্য। ওনাকে যখনই ডেকে পাঠান হয়েছে উনি গিয়েছেন, নোটিশে কোথাও অভিজিৎকে অভিযুক্ত বলা হয়নি । অ্যারেস্ট মেমোতে কোনও আত্মীয়ের সই নেই। হেফাজতে রাখা হলে বাধ্যতামূলক ভাবে ওনাকে সাসপেন্ড করা হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওনাকে জামিন দেওয়া হোক।