
TMC News: বিদেশের মাটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন রাজ্যে তার সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ঠিক তখনই তার দলের এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এলাকায় অসামাজিক কাজ করার অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতের নাম অনুপ পৈলান। তিনি খেয়াদহের রণভুতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসবাদী, অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় মানুষদের ভয় দেখিয়ে এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম করত অভিযুক্ত অনুপ পৈলান।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে অনুপ পৈলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছিল। তার বিরুদ্ধে এলাকায় তোলা আদায়, সাট্টা এবং জুয়ার ঠেক চালানোর অভিযোগ ছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় সমাজবিরোধী কাজকর্ম করার অভিযোগ রয়েছে।
নরেন্দ্রপুর থানার এসআই শান্তনু ব্যাধ গোপন সূত্রে খবর পান যে, অনুপ পৈলান তার বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখে। এরপর, তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রানাভুতিয়া গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিছনে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এইসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সে এলাকার মানুষজনদের হুমকি দিত। এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাত।
অস্ত্র ব্যবহার করে সে এলাকার মানুষের উপর হুমকি সৃষ্টি করত গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে পূর্বেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে খেয়াদহ দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে বেশ কয়েক জন
শিশু আহত হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কেন ছিল এবং সে সেগুলি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করত? তা জানতে অভিযুক্ত অনুপকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তা জানতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।