
Shantiniketan: প্রোমোটারের দাপটে বাংলা থেকে মুছে গেল স্মৃতিবিজরিত আরও একটি জায়গা। আর থাকল না 'আবাস'। বোলপুর শান্তিনিকেতনের অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবন 'আবাস' ভেঙে ফেলল প্রোমোটাররা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ. স্মৃতিবিজরিত এই বাড়ি ভাঙার জন্য কোনও রকম পুরসভার অনুমতি নেওয়া হয়নি। যারফলে শান্তিনিকেতনের এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল। গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরে বাড়ি।
সূত্রের খবর, এর আগেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একই ভাবে বাড়ি ভাঙার চেষ্টা করেছিল প্রশাসন। যদিও সেবার স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলে ব্যর্থ হয় সেই চেষ্টা। ফিরে যেতে হয় প্রশাসনকে। তবে এবার আর তা রক্ষা করা গেল না। রবিবার সকালেই পাল্টে গেল এতদিনের চেনা পরিচিত দৃশ্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখের সামনেই মেশিন দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবন 'আবাস'।
জানা গিয়েছে, সদর দরজার তালা অক্ষত থাকলেও পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়। রবিবার সকালেই মাটির সঙ্গে মিশে যায় আবাস। সেখানে প্রোমোটাররা বহুতল নির্মাণ করবে বলে জানা গিয়েছে। শান্তিনিকেতনের এই বাড়িটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে অলকেন্দ্রনাথ ঠাকুর তৈরি করেছিলেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও জীবনের কিছু সময় এখানে কাটিয়েছিলেন। যা এই বাড়িটিকে আরও ঐতিহাসিক করে তুলেছে।
এদিকে এই ঘটনর পর বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, ''আমি অসুস্থ বাড়িতেই ছিলাম। পরে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।'' অন্যদিকে বোলপুরের SDO বলেন, ''বাড়িটি ভাঙার জন্য শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অনুমতি ছিল না।'' শুধু তাই নয়, হঠাৎ করে বাড়ি ভেঙে ফেলার মত ঘটনায় তীব্র ক্ষুদ্ধ স্থানীয় অবনপল্লীর বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, ''এটি কেবল বাড়ি নয়, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য, স্মারক, শিল্পসংস্কৃতি।'' ঐতিহ্য রক্ষায় প্রশাসনের এত উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তবে এই ভাঙচুরের জেরে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন ঐতিহ্যবাহী বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলো না কেউ। যা নিয়ে পরে দেশজুড়ে বিতর্ক বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে হুমকির পর থেকেই ভাইরাল অডিয়ো কাণ্ডে বিতর্কে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এবার ভাইরাল অডিয়ো ইস্যুতে তাঁকে একহাত নিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh News)। সোমবার নিউটাউনে প্রাতঃ ভ্রমণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ''আজ পুরো পার্টির মুখে জুতো মারা উচিত। এই তৃণমূল পার্টিটা থাকলে এই ধরনের জঘন্য মানুষ, সমাজবিরোধীরাই নেতা হবে।''
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ''অনুব্রত মণ্ডলের অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। তাঁকে তাতে অশালীন কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। ওদের মুখপাত্র বলছে তৃণমূল তো ব্যবস্থা নেয়, অন্যরা নেয় না। আরে অন্য পার্টিতে তো এরকম রত্ন নেই। ব্যবস্থা কার বিরুদ্ধে নেবে? আপনারা এই রকম রত্ন তৈরি করেছেন ডজন ডজন। যেই এক্সপোজ হয়ে গিয়েছে, তখন রাতারাতি ব্যবস্থা। এটা সেটা..। এগুলো সব চাপা পড়ে যাবে। এসব লোক দেখানো। এই লোকগুলো ছাড়া তৃণমূল চলে না। এটাই আসল তৃণমূল (TMC News)।''
অন্যদিকে অনুব্রতর পুলিশি তলব এড়ানো নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ''থানায় না গেলে পুলিশ কী করবে? পুলিশকে উনি যে ভাষায় কথা বলেন, তাতে পুলিশের দম আছে ডেকে কথা বলবে? একটা FIR করবে? চা খেয়ে চলে আসবে। কেস ডিসমিস হয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কী ভাবে এদের সম্পর্কে? আসানসোল থেকে যখন নিয়ে যাচ্ছিল সিবিআই (CBI) তখন লোক জুতো মেরেছিল। আজ পুরো পার্টির মুখে জুতো মারা উচিত, এই তৃণমূল পার্টিটা থাকলে এই ধরনের জঘন্য মানুষ, সমাজবিরোধী নেতা তৈরি হবে।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।