দলীয় কর্মী ও অনুগামীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।
চোখের চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। তিন মাস পরে প্রথম প্রকাশ্যে এসেছেন নিজের পিসি অর্থার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোতে। দ্বিতীয়বার প্রকাশ্যে এলেন নিজের জন্মদিনে। আর সেখানেই দাঁড়িয়ে অনুগামীদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদলের। জন্মদিন ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। ৩৮ এ পা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নম্বর টু। তবে জন্মদিনে রীতিমত ঝকঝকে ছিল তাঁর উপস্থিতি। ডেনিম জিন্স, কালো ফুলহাতে গোল গলা টিশার্ট, চোখে রোদ চশমা- কালীপুজোর দিনের মত এখানেও ছকভাঙা পোশাকে রাস্তায় নেমে আসেন অভিষেক। যা নিয়েও রীতিমত জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
এদিন দলীয় কর্মী ও অনুগামীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। ঘোষণা করেই লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন ,'তিন মাসের মধ্যে দলে বড় বদল দেখা যাবে।' সেখানেই তিনি পুরসভা ও জেলা স্তরে সংগঠনের রদবদলের কথা বলেছিলেন। এদিন সাংবাদিকদের সেই প্রশ্ন তাঁকে করে। উত্তরে তিনি বলেন, 'আমার কাজ আমি করে দিয়েছি। চোখে অস্ত্রোপচারের আগেই কোথায় কাতে বদল করা উচিৎ সে ব্যাপারে নেত্রীকে রিপোর্ট দিয়ে গেছি। হতে পারে উপ নির্বাচন ও সাত-পাঁচ কারণে এ ব্যাপারে তিনি সিদ্ধন্ত নেননি।'এদিন সাংবাদিকদের অভিষেক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন দলে আনুগত্যের কোনও প্রশ্নই নেই। আসল কথা হল পারফরমেবন্স। তৃণমূল নেতার কথায়, 'কে কতটা কাজ করছে, তা কতটা কার্যকরী- তা দেখেই বিচার করা হবে।'
তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ আনুগত্যের রাজনীতি নিয়ে গত আট বছর ধরেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অন্দরে অভিষেকের এই সাংগঠনিক রদবদলের খসড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই আশঙ্কা বাড়ছে জেলা স্তরের বহু নেতার। তবে খুব একটা স্বস্তিতে নেই রাজ্যস্তরের একাধিক নেতাও।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।