সম্প্রতি বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে তিন মাস পর অর্থাৎ ভোট মিটলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতেই লাগাম দিতে এবার বিরাট গ্যারান্টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তনের পিছনে যার সবচেয়ে বড় যে ভূমিকা রয়েছে সেটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্প যেমন ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক ভোট এনে দেয় তৃণমূলের ঝুলিতে, ঠিক সেই রকমই ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও এই প্রকল্পকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
এখন রাজ্যের মহিলাদের টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের টাকা ৫০০ থেকে করা হয়েছে ১০০০। অন্যদিকে তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। ইতিমধ্যেই বর্ধিত ভাতা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। তবে সম্প্রতি বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে তিন মাস পর অর্থাৎ ভোট মিটলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতেই লাগাম দিতে এবার বিরাট গ্যারান্টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কালনার বৈদ্যপুরে তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারের সমর্থনে সভা করার কথা ছিল অভিষেকের। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভার্চুয়াল সভা সারেন অভিষেক। সেখান থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা নিয়ে গ্যারান্টি দেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
গেরুয়া শিবিরকে বাংলাবিরোধী তকমা দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘সন্দেশখালি ঘটনার অনেকে আগে থেকেই আমরা বিজেপিকে বাংলাবিরোধী বলি। বাংলার ১০ কোটি মানুষকে, মহিলাদের অপমান করেছে এই বিজেপি। এই কেন্দ্র সরকার আমাদের সাহায্য করুক আর নাই করুক, ওই শর্মিলা সরকারের হাত ধরে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা এই বছর শেষের আগে আপনাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। অর্থাৎ বিরোধীরা যতই বলুক না কেন, লক্ষীর ভাণ্ডার যে বন্ধ হচ্ছে না সেই বিষয়েই আশ্বস্ত করলেন অভিষেক।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।