জুনের শেষেই ঢুকবে অতিরিক্ত মাইনে, DA নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই নয়া ঘোষণা মমতা সরকারের
গত বছর ২১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে আরো ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করা হয়। তবে ডিএ নিয়ে ক্ষোভ মেটেনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এবার নয়া ঘোষণা।
মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ ডিএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। ক্ষোভ কেনই বা হবে না? কেননা যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন, সেই জায়গায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ।
শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা নন, দেশের বহু রাজ্য রয়েছে যেখানে কেন্দ্রীয় হারেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া হচ্ছে। তাই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে, দিন দিন তারা আন্দোলনের সুর চড়াচ্ছেন।
ঠিক সেই সময় আবার একটি সুখবর মিললো। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই সুখবর তাদের হাতে অনেকটাই বেশি বেতন তুলে দেবে। বলা যেতে পারে ভাগ্য খুলল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। কেননা তারা এবার বাড়তি ডিএ পেতে চলেছেন।
রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি বাজেটের বর্ধিত ডিএ মে মাস থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আবার রাজ্য সরকার ওই বর্ধিত ডিএ এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বকেয়া ডিএ হিসাবে এপ্রিল মাসের ডিএ পাবেন। সেই বাড়তি ডিএ জুন মাসের বেতনের সঙ্গে দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু রাতারাতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভাগ্য খুললো। কেননা জুন মাসের বেতন দেওয়ার আগেই এপ্রিল মাসের বকেয়া ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে।
এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বড় অংশ কিন্তু এখনও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া ১৪ শতাংশ ডিএ-তে খুশি নয়।
যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-এর ফারাক অনেকটাই বেশি ৩৬%, তাই স্বাভাবিকভাবেই এত কম ডিএ-তে তাদের মুখে হাসি ফুটছে না।
যে কারণে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র জন্য যে আন্দোলন চলছে তা আগামী দিনেও চলবে বলেই জানা যাচ্ছে।