তিহার পর্ব কাটিয়ে অনেক দিন আগেই নিজের জেলায় ফিরেছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এবার বেফাঁস মন্তব্যে দলের মধ্যেই চাপে পড়লেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
210
অনুব্রতর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ উঠেছে?
সম্প্রতি একটি অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। (যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি Asianet News Bangla)। সেই অডিওতে শোনা গিয়েছে বোলপুর থানার আইসি এবং অনুব্রত মণ্ডলের কথোপকথন।
310
আইসিকে হুমকির অভিযোগ!
জানা গিয়েছে, খোদ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে উঠেছে তোলাবাজির অভিযোগ। ফোন করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধে (যদিও ওই ফোনকলের সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
যে অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে তাতে এক জনকে 'অনুব্রত মণ্ডলের' নাম নিয়ে বোলপুরের আইসিকে হুমকি দিতে শোনা যাচ্ছে। সেই অডিয়ো ক্লিপে বলা হচ্ছে, ডেপুটেশন দিতে গিয়ে থানা থেকে বার করে আইসিকে পেটানো হবে। শুধু তাই নয়, বোলপুর থানার আইসির মা-স্ত্রীর উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শোনা যাচ্ছে। মিছিলের জমায়েতে পুলিশি রিপোর্ট নিয়ে আইসির বিরুদ্ধে তোপ দাগতেও শোনা গিয়েছে। যদিও কণ্ঠস্বরটি তৃণমূল নেতা অনুব্রতের কি না তার সত্যতা যাচাই করেনি Asianet News Bangla ।
510
কী বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ''আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বলেছি। ডিআইজি পশ্চিমাঞ্চলকে বলেছি। আমি এসপিকে বলেছি এই আইসির ব্যাপারে।'' অনুব্রত মণ্ডলের আরও অভিযোগ, ''আইসি লিটন হালদারের কাছে এফআইআর বা কোনও কাজ করাতে গেলে তিনি শুধু টাকা চান। টাকা ছাড়া আইসি কিছু বোঝেন না।''
610
অনুব্রতের মন্তব্যের পরই বিতর্ক
রাজ্যের যে কোনও জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তিনি এখন আর বীরভূমে শাসক দলের জেলা সভাপতি নন। বীরভূমে আর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি পদ নেই। অনুব্রত মণ্ডল যে পদে ছিলেন, সেই পদেরই অস্তিত্ব নেই। আর তার এমন মন্তব্য ঘিরে শাসক দলের অন্দরে ছড়িয়েছে ক্ষোভ
710
অনুব্রতকে তৃণমূলের বার্তা
ভাইরাল অডিও ঘিরে তোলপাড় রাজ্যরাজনীতি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের তরফে জারি করা হয় নোটিস। ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোকজও করা হতে পারে। এমন কথা জানিয়ে দেওয়া হয় ওই নোটিসে।
810
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল
সূত্রের খবর, দলের তরফে নোটিস পেয়েই রাজ্য পুলিশকে চিঠি দিয়ে লিখিত ভাবে ক্ষমা চান তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশের কাছে ক্ষমা চান তিনি।
910
চিঠিতে কী লিখেছেন অনুব্রত?
ওই চিঠিতে অনুব্রত লিখেছেন, ‘’পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ পুলিশকর্মী থেকে একজন বড় অফিসার সবাই দিদির কাছের মানুষ। তাদের অপমান করার কথা ভাবতে পারিনা। সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে আমি একবার কেন, ১০০ বার ক্ষমা চাইতে পারি।''
1010
অনুব্রত মণ্ডল আর কী বলেছেন?
তিনি আরও বলেন, ‘’আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খায় এবং দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। সত্যি আমি দুঃখিত। কিন্তু আপনাদের ভাবতে হবে তিনটি মহকুমা বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল দেখে কারা ভয় পেল? বিজেপি কিকরে আমার আর আমাদের বোলপুরের আইসিকে গালমন্দর ফুটেজ পেল? কে দিল? কোন চক্রান্ত নেই তো?’ চিঠির শেষাংশে তাঁর বক্তব্য, ‘তবুও আমি বলছি কোনও পুলিশ বন্ধু আমাকে ভুল বুঝলে আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।''