
Murshidabad News: দেশে আইন করে, সচেতনতার প্রচার চালিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্য বিবাহ। এবার নাবালিকার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ের ব্যবস্থা করার অভিযোগ উঠল পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিয়ে না করেই সটান থানায় হাজির ওই নাবালিকা।
শনিবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্দি এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল ওই নাবালিকার বাবা। তাও আবার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৩৫ বছরের এক ছেলের সঙ্গে। ৩৫ বছরের যুবক আর ১৬ বছরের নাবালিকার সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। আর বিয়ের পিঁড়িতে না বসেই সটান হাজির হল থানায়। তবে থানায় হাজির হতেই পড়াশুনো সহ আগামী দিনের দায়িত্ব নিলেন খোদ কান্দি থানার আইসি ।
জানা গিয়েছে, বড়ঞা থানার অমৃতমুনি গ্রামের এক নাবালিক আন্দি লাল চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা ওড়িশায় বিদ্যুৎতের কাজ করে। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করার জন্য বাবা বাইরে থাকেন। বাবা বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন বড়ঞা থানার রাঙাবালি কল্লা গ্রামের এক ৩৬ বছরের যুবকের সঙ্গে।
দাদু জেঠু কাকু কাকিমা ভাই নিয়ে সংসার থাকলেও বাবা জোর পূর্বক বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু বিয়েতে অমত ছিল ওই নাবালিকার। বিয়ের আগের দিন থানায় হাজিরা হয় ওই নাবালিকা ছাত্রী। বিয়ে করবেন না, ভবিষ্যতে পড়াশুনো করতে আগ্রহী। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই ছাত্রী। তাই বিয়ে বন্ধের পাশাপাশি আগামী দিনে পড়াশুনো সমস্ত রকম দায়িত্ব ভার গ্রহণ করলেন কান্দি থানার আইসি মৃণাল সিনহা নিজেই। রাজ্যে সরকারের উদ্যোগে নাবালিকা বিয়ের বন্ধ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। স্কুলে স্কুলে প্রচার, ছাত্রীরা সচেতন হলেও কেন সচেতন নেই অভিভাবকরা উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে, সাইবার অপরাধে ব্যারাকপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করলো সাগরদিঘী থানার পুলিশ। ধৃত ওই যুবকের নাম দুরন্ত দাস শর্মা। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী এলাকার এক ব্যক্তি সাগরদিঘী থানায় অভিযোগ দায়ের করে । সে জানায় তার মোবাইলে অজানা নাম্বার থেকে একটা ফোন আসে এবং তাকে জানায় যে, তাকে লোন দেওয়া হবে। লোন দেওয়ার নাম করে উক্ত ব্যক্তির মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ওটিপি আসে এবং সেই ওটিপির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা খোয়া যায়। তারপর ওই ব্যক্তি সাগরদিঘী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উক্ত মোবাইল নাম্বার ধরে।
এরপর সাগরদিঘী থানার পুলিশ উক্ত মোবাইল নাম্বার ধরে তদন্তে নামে। মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে উত্তর ২৪ পরগনার সদর শহর ব্যারাকপুর এলাকায় পৌঁছায় সাগরদিঘী থানার পুলিশ। সেখান থেকে গত রাত্রে দুরন্ত দাস শর্মা নামে ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় দুরন্ত দাস শর্মা নামে ওই যুবক কলকাতার সল্টলেক এলাকায় একটা কোম্পানীর অধীনে কাজ করে।
সে নিজেকে আইটি সংস্থার কর্মী বলে জানান। সাগরদিঘী থানার পুলিশ আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জঙ্গিপুর মহাকুমা আদালতে পাঠায়। ইতিমধ্যে সাগরদিঘী থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে দুরন্ত দাস শর্মা আর কোথা থেকে এবং কত টাকা প্রতারণা করেছে এবং এর সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত আছে তার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সাগরদিঘী থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।