Amit Shah: মমতার হিম্মত নেই সিএএ আটকানোর, ভোট প্রচারে হুংকার অমিত শাহের

ভোট প্রচারে আবারও রাজ্যে এলেন অমিত শাহ। রায়গঞ্জ ও মালদা দক্ষিণে নির্বাচনী সভা করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে তিনি এসএসসি রায় নিয়ে নিশানা করেন তৃণমূল কংগ্রস সরকারকে।

সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন অমিত শাহ।

অমিত শাহ বলেন,গতকালই ২৫ হাজার চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন করেছে ১০ লক্ষ ১৫ লক্ষ টাকা করে চাকরির জন্য ঘুষ নিত। মা বোনেরা আপনাদের কাছে আপনাদের ভাই-ছেলেদের চাকরি জোটানোর জন্য ১৫ লক্ষ টাকা আছে তো? নেই তো ? তা হলে ওরা চাকরি পাবেন কী ভাবে?

রায়গঞ্জের জনসভায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ওদের এক মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫১ কোটি টাকা নগদ বেরিয়েছিল। এখন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জেলে বসে আছেন।

অমিত শাহ বলেন, আমি জানতে চাই এই কাটমানি, এই চাকরি, খনিতে দুর্নীতি বাংলায় আটকে দেওয়া উচিৎ। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেটা পারবেন না। এটা শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদী সরকারই বন্ধ করতে পারবেন।

মঙ্গলবার ভোট প্রচারে রাজ্যে এসে রাজ্য থেকে ৩০ টি আসনের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ৩০ আসন জিতিয়ে দিন। মমতাদিদির হিম্মত হবে না উন্নয়ন আটকানোর।

ভোট প্রচারে বাংলায় এসে মমতাকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, সিএএ কার্যকর হলে মমতার কী সমস্যা।

সিএএ নিয়ে ভোট প্রচারে রীতিমত হুংকার দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় হবে না সিএএ আটকানো।

এর আগে ভোট প্রচারে দার্জিলিংএ এসেছেন অমিত শাহ। তবে কুয়াশার কারণে আবহাওয়া খারাপ থাকায় দার্জিলিংএ নামতেই পারেননি।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা একাধিক ভোট প্রচারে রাজ্যে আসছেন। মোদী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহের মত শীর্ষ নেতৃত্ব ভোট প্রচার করছেন।