Weather Update: প্রখর রোদে পুড়ছে বাংলা, স্বাভাবিকের তুলনায় রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি বেশি
তাপমাত্রার আগুনে পুড়েছে গোটা বাংলা। শুধুমাত্র স্বস্তি পাহাড়ে। এই অবস্থায় রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পানাগড়ে।
Saborni Mitra | Published : Apr 21, 2024 10:09 AM IST
পুড়ছে প্রায় গোটা বাংলা
একমাত্রা পার্বত্য এলাকা বাদ দিয়ে প্রায় গোটা বাংলাতেও তাপমাত্রার পারদ উর্ধ্বগামী। জ্বলে উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায় সব জেলাই। পশ্চিমের জেলাগুলির অবস্থা সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর।
রেকর্ড তাপমাত্রা পানাগড়ে
গত দুই দিন ধরে রেকর্ড তাপমাত্রা পানাগড়ে। সেখানে গতকালও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ৮.৩ ডিগ্রি বেশি। এদিনও প্রায় একই থাকবে তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
গোটা রাজ্যেই তাপমাত্রার তেমন কোনও হেরফের হবে আগামী তিন থেকে চার দিন। তাপমাত্রার পারদ ১-২ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
লাল সতর্কতা জারি
এদিনের মত আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায়।
আগামিকাল হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, পুরুলিয়া , পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিবাদাব, নদিয়া, জেলায় তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, কলকাতা ও হাওড়া জেলায়।
মঙ্গলবারের আবহাওয়া
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার জন্য হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি করা হলেও কোথাও লাল সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
বুধ ও বৃহস্পতিবারের আবহাওয়া
বুধবার ও বৃহস্পতিবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার জন্য। তবে কিছুটা হলেও গরম কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
কলকাতার তাপমাত্রা
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন কলকাতার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। আগামিকালও তাপমাত্রার তেমন কোনও হেরফের নেই।
কলকাতার থেকে স্বস্তি
কলকাতার থেকে স্বস্তিকর আবহাওয়া দিল্লি ও চণ্ডীগড়ের মত এলাকায়। জয়পুরের কম গরম অনুভূত হচ্ছে কলকাতার তুলনা। তবে কবে এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তার কোনও হদিস এখনও দিতে পারেনি আলিপুর হাওয়া অফিস।