"আমার এটাও * পারলি না তোরা!" এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক অভিযোগ করলেন আরও এক চিকিৎসকের মা

Published : Sep 08, 2024, 10:58 AM IST
dr sandeep ghosh arrested

সংক্ষিপ্ত

"আমার এটাও * পারলি না তোরা!" এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক অভিযোগ করলেন আরও এক চিকিৎসকের মা, ঘরে ডেকে তাঁকে কী বলেছিলেন?

এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠে এল আরও গুরতর অভিযোগ। এক মহিলা দাবি করেছেন করোনাকালে সন্দীপকে আরজিকরের অধ্যক্ষ করা হলে তখন তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। এবং এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মাশুল পরে তাঁর মেয়ে ও মেয়ের বন্ধুদের ভালমতোই গুণতে হয়েছিল বলে জানান ওই মহিলা।

মহিলা জানিয়েছেন, " মেয়েকে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। বেশি-বেশি করে ডিউটি দেওয়া হত। এমনকী ইন্টার্নশিপও শেষ হতে দিচ্ছিলেন না সন্দীপ।

এই কারণে উদভ্রান্তের মতো টানা ১৭ দিন স্বাস্থ্যভবনে ছুটতে হয়। শুধু তাই নয়, নিজের যোগ্যতায় যিনি চিকিৎসক হয়েছেন, তাঁকে স্রেফ শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য কার্যত সন্দীপের হাতে-পায়ে ধরতে হয়েছিল। তারপরও শপথবাক্য পাঠ করানো হয়নি" বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা।

মহিলা আরও অভিযোগ করেন, "ঘরের মধ্যে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মাথার চুলটা দেখিয়ে (সন্দীপ) বলেছিল, আমার এটাও ছিঁড়তে পারলি না তোরা।"

আরজিকর হাসপাতালে ঢুকতে না ঢুকতেই দুর্নীতি শুরু করেন সন্দীপ। এই মহিলার অভিযোগের ভিডিও

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।

ওই ভিডিয়োতে মহিলা যা বলেছেন তা শুনলে রীতিমতো হতবাক হতে হবে। ভিডিয়োতে তিনি আরও জানান, "লুকিয়ে-চুরিয়ে সন্দীপকে আরজি করে পাঠানো হয়। ঢুকে থেকেই শুরু হয়েছিল দুর্নীতি চক্র। ইন্টার্নশিপ করতে গিয়ে তিন মাসের মধ্যে বুঝতে পেরেছিল আমার মেয়ে ও তার বন্ধু-বান্ধবরা। স্বাস্থ্যভবনে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন সন্দীপ" ।

মহিলা জানান, ২০২১ সালের অক্টোবরে যখন সন্দীপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল, তখন আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই আবহে কয়েকদিনের স্বাস্থ্যভবনে 'গা-ঢাকা' দিয়েছিলেন সন্দীপ। পরবর্তীতে উপরমহল থেকে চাপ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন মহিলা।

মহিলা আরও জানান," কিছুতেই মেয়েকে কনভোকেশন দেওয়া হয়নি। ইন্টার্নশিপ শেষ হয়ে গিয়েছে তা প্রচার করতে চাওয়া হয়নি। টানা ২ সপ্তাহ স্বাস্থ্য ভবনে দৌড়ে তারপর সমস্যা মেটে। হাতে পায়ে ধরে বলা হয়েছিল তাও শপথ বাক্য পাঠ করতে দেননি সন্দীপ। সে বেচে একমাত্র অভিযোগকারীর মেয়েই মহিলা শিক্ষার্থী ছিল, বাকি সবাই পুরুষ। বলা হয়েছিল ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়া মাত্রই আরজিকর ছাড়তে হবে। নাম থাকা সত্ত্বেও আরজিকরে হাউজস্টাফশিপ দেওয়া হয়নি। "

PREV
click me!

Recommended Stories

'এবার থেকে যেখানে যাবেন বন্দে মাতরম বাজান হবে' মমতাকে চরম বার্তা শুভেন্দুর
West Bengal SIR News: ভারতীয় বাবার ‘অচেনা বাংলাদেশি ছেলে’! SIR হতেই সব কাণ্ড ফাঁস