অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে প্রবেশ করার পরপরই বড় ঘটনা। তার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক ও বীরভূম জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে।
১৮ মাস পরে তিহার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সবমিলিয়ে প্রায় ২ বছর বাদে বীরভূমে নিজের বাড়িতে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। বাড়ি ঢুকেই তিনি কেঁদে ফেলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে বাবা - মেয়ের সংসার ছিল। সেই বাড়ি, একাধিক স্মৃতি - সব মিলিয়ে চোখের জলে ভাসলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু যতই চোখ দিয়ে জল ঝরুক, বীরভূমের মাটিতে পা রেখে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন তিনি 'রাফ অ্যান্ড টাফ' রয়েছেন। সকাল থেকে অপেক্ষা করার পরেও খালি হাতেই ফিরতে হন জেলার দুই বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায়চৌধুরী। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী।
অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে প্রবেশ করার পরপরই এটি একটি বড় ঘটনা। তার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক ও বীরভূম জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে। যদিও তাঁরা এদিন সকাল থেকেই অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তবে 'কেষ্ট দা'(অনুব্রত মণ্ডল)নিজে নিজের বাড়িতে প্রবেশ করার পর অন্যদের প্রবেশের অনুমতি মিললেও, এই দুই নেতাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও অনুব্রতের বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাখানেক কাটান বীরভূম জেলা কোর কমিটির অপর এক সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ। সূত্রের খবর, অনুব্রতের সঙ্গে সুদীপ্তের কথাও হয়েছে। কিন্তু কী কথা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
অনুব্রত মণ্ডলের ফেরার পর থেকে বীরভূম জেলার রাজনীতিতে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। আজ সকালে রাজ্যের দুই বিধায়ক অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারায় সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। ঘনিষ্ট মহলে তিনি জানিয়েছেন, পরে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। দেখা না করেই চন্দ্রনাথ সিনহার মত ফিরে যান বিকাশ রায় চৌধুরী। আজকের এই ঘটনা বীরভূম জেলা রাজনীতিতে আসন্ন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির আশপাশে দেখা যায়নি অন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাজল শেখকে। অনুব্রত অনুপস্থিতিতে তিনি একাধিকবার নজর কাড়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁকে কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে ধমকও দিয়েছিলেন।
বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর কাজল শেখের মতই চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায়চৌধুরী দুজনেই জেলা রাজনীতিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধ লবি। তাঁর অবর্তমানে কাজল শেখ-সহ অনেকেই জেলার মুখ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের গুঞ্জন ২ বছর পরে জেলায় ফিরে জেলা রাজনীতির হাত আবারও নিজের হাতে নিতে মরিয়া হয়েই একাধিক পদক্ষেপ করছেন অনুব্রত। যদিও অনুব্রত মণ্ডল যে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ট তা এদিনই আবারও প্রমাণ করল তাদের একান্ত বৈঠক।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।