টাকা লেনদেনের সব বিষয় 'বাবা' জানতেন বলেও দাবি করেছেন কেষ্ট-কন্যা। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান সে কথাকে সমর্থন করছে না। বাবা-মেয়ের এই বক্তব্যের পার্থক্যই উঠে এল ইডির চার্জশিটে।
ইডির চার্জশিটে নাম উঠল অনুব্রত-কন্যার। পেশায় সাধারণ স্কুল শিক্ষিকার অ্যাকাউন্টে কীভাবে কোটি কোটি টাকা আসল সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা চলছে। সুকন্যা অবশ্য জানিয়েছেন এসব ব্যপারে তিনি কিছুই জানতেন না। টাকা লেনদেনের সব বিষয় 'বাবা' জানতেন বলেও দাবি করেছেন কেষ্ট-কন্যা। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান সে কথাকে সমর্থন করছে না। বাবা-মেয়ের এই বক্তব্যের পার্থক্যই উঠে এল ইডির চার্জশিটে।
চার্জশিটে ইডির দাবি অনুব্রত জানিয়েছেন, স্ত্রী অধুনাপ্রয়াত ছবি মণ্ডল তাঁর কোনও ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন না। তিনি এবং কন্যা সুকন্যা মিলের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারির নির্দেশনায় সমস্ত ব্যবসা চলত। অন্যদিকে সুকন্যা নিজের বয়ানে বলেছেন,তিনি ব্যবসার বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তাঁর বাবা তাঁকে যেখানে সই করতে বলতেন। তিনি সই করতেন। বাবা-মেয়ের বয়ানের পার্থক্য নিয়েই এবার আরও গাঢ় হচ্ছে ইডির সন্দেহ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মেয়ের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে মুখ খুললেন কেষ্ট। ৪ মে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। হুইল চেয়ারে করে আদালতে প্রবেশ করেন বীরভূমের দাপুটে নেতা। এদিন মেয়ের সঙ্গে কবে দেখা করবেন সেই নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নের উত্তরে কেষ্ট জানান আগামী শনিবারই দেখা হতে পারে মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে।
গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলেই রয়েছেন বাবা অনুব্রত মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। একই জায়গায় থেকেও কি মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি অনুব্রতর? বৃহস্পতিবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান,'মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি। শনিবার দেখা হবে।' তবে কতক্ষণের জন্য সেই সাক্ষাৎ সেবিষয় কিছুই জানাননি তিনি।
গত বুধবারই সুকন্যাকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এদিন আদালতে পেশ করা হয় সুকন্যাকে। তিন দিনের হেফাজত চেয়েছিল ইডি। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লির আদালত। তবে এর আগেও একাধিকবার সুকন্যাকে এই মামলায় জেরা করেছে ইডি। একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যাও। গরু পাচার-কাণ্ডে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গত সাড়ে আট মাস ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছেন অনুব্রত। কারণ তদন্তকারীরা তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়েছিল। সেইমতই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তায়। তারপর থেকেই তিহারজেলে বন্দি তিনি।