
Pakistani Spy Jyoti Malhotra: কলকাতাতে তো এসেইছিল, পাশাপাশি বাংলার আরও কয়েকটি জায়গায় ঘুরেছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা (Jyoti Malhotra)। সে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল জ্যোতি। সে ব্যারাকপুরে এক বিখ্যাত রেস্তোরাঁয় বিরিয়ানি খেয়েছিল। এই ব্যারাকপুরেই সেনা ছাউনি আছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ শহর ব্যারাকপুর। সেখানে পাক গুপ্তচরের আগমন উদ্বেগজনক। শিলিগুড়িও সেনাবাহিনীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে শিলিগুড়ি এবং উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে চিন্তা বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জ্যোতির উত্তরবঙ্গে যাওয়া গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে। এই পাক গুপ্তচর বাংলার যে জায়গাগুলিতে গিয়েছিল এবং যাদের সঙ্গে দেখা করেছিল, তাদের উপর নজর রাখছেন গোয়েন্দারা।
জ্যোতি যখন এ রাজ্যে এসেছিল, তখন তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের ট্র্যাভেল ভ্লগার সৌমিত ভট্টাচার্য। তিনি এখন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পরিবার এখন আর আসানসোলে থাকে না। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় থাকে সৌমিতের পরিবার। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় সেখানে গিয়েছিলেন এই যুবক। সেখানেই তাঁর সঙ্গে জ্যোতির আলাপ হয়। এরপর কলকাতায় এসে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জ্যোতি। সৌমিতের সঙ্গে ব্যারাকপুর থেকে হুগলির শ্যাওড়াফুলিতে গিয়েছিল পাক গুপ্তচর। তার সঙ্গে অপর এক ট্র্যাভেল ভ্লগার মোহিতেরও যোগাযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে লোকাল ট্রেনে চড়ে লিলুয়া গিয়েছিল জ্যোতি। সৌমিতের পাশাপাশি মোহিতকেও জেরা করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।
আসানসোলে যে আবাসনে সৌমিতরা থাকতেন, সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এই আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা এই যুবককে দেখেছেন। তবে তিনি কারও সঙ্গে সেভাবে মিশতেন না। সৌমিত এখন কী করছেন, জ্যোতিকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন, কোনওভাবে তিনিও আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।