
WB SIR Bangladeshi: ২০০২ এর ভোটার লিস্টে নাম নেই বাংলাদেশি পরিবারের তিনজনের। বাবা-ছেলে টোটো চালিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সীমান্ত শহর বসিরহাটে। সংগ্রামপুরে বাংলাদেশি বাবা-ছেলে অবৈধভাবে টোটো চালিয়ে খুল্লাম খুল্লাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। ১০ বছর আগে অবৈধভাবে এদেশে সীমান্ত পার করে ঢুকেছিল প্রথমে ইটভাটায় কাজ শুরু করেছিল।
অভিযোগ, তারপর জমি কিনে বাড়ি করেছেন। আর টোটো চালিয়ে দাপটের সঙ্গে জীবন যাপন করছেন। ২০০৩ সালে ৬২ বছরের নুরুল ইসলাম শেখ, স্ত্রী ফজিলা বিবি ও ছেলে নুরুজ্জামান শেখকে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসে। এরপর উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের সংগ্রামপুর সিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরামনগর চার নম্বর বুথ এলাকায় বাস করতে শুরু করেন।
তারপর এখানকার সেলিমা খাতুনকে বিয়ে করে ভারতীয় বাসিন্দা হয়ে যান। একে একে ভোটার কার্ড আধার কার্ড অসৎ পথে বের করে ফেলেন। সংগ্রামপুর থেকে কাটিহাট রুটে বাবা-ছেলে অটো চালিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। ফজিলা বিবি বাড়িতে থাকেন। সকালে তার বাড়িতে গেলে নুর ইসলাম নিজেই বলেন, ‘’আমি ২০০৩ সালে এখানে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেছি। আমার ২০০২ এর ভোটার লিস্টে নাম নেই।'' স্ত্রী ফজিলা বিবি বলেন, আমারও নাম নেই।''
নুরুজ্জামান ছেলের কথা বললেই তিনি বলেন, ‘’স্ত্রী সেলিমাকে নিয়ে বোম্বে চলে গেছেন কাজ করতে'।' এই ঘটনায় ওই বুথে পঞ্চায়েত মেম্বারের প্রতিনিধি তথা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি হাবিব মণ্ডল বলেন, ‘’আমাদের কাছে এই রকম ৩৪ জনের নামের তালিকা আছে। যাদের ২০০২-এর লিস্টের নাম নেই। এর মধ্যেও অনেকে ২০০২ এর পরে জমি জায়গা কিনে বাড়ি কিনেছে। এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার দায়িত্ব তারাই বলতে পারবে।''
পাশাপাশি বসিরহাট দক্ষিণ মন্ডলের বিজেপির সভাপতি আব্দুর রউফ সরদার বলেন, ‘’বিরামনগর অঞ্চলে প্রচুর বাংলাদেশী রয়েছে। বেশ কিছু পালিয়ে গেছে, এখনো একটি পরিবার রয়েছে সেগুলো নাম তোলার চেষ্টা করছে। আমি BLO, প্রধান এলাকার জনপ্রতিনিধির কাছে বলব যাতে এই ধরনের কাজ না হয়। আমরা ইতিমধ্যে চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।