
DVC Water Release: দফায় দফায় ডিভিসি ছাড়ছে জল। গত বছরের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি আতঙ্ক ফেরাচ্ছে সোনামুখীর দামোদর তীরবর্তী এলাকার কৃষকদের। এখন কৃষকদের মাঠ ভর্তি সবজি জমি। এই পরিস্থিতিতে গতবারের মতো চাষের জমি জলের তলায় চলে গেলে কৃষকদের বেঁচে থাকার উপায় থাকবে না, কৃষকদের আতঙ্ক ধরাচ্ছে ডিভিসি , অত্যন্ত সতর্ক বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন ।
বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহন পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর নিত্যানন্দপুর সমিতি মানা কেনেটি পান্ডেপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদর নদী। প্রতিবছর DVC র ছাড়া জলে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই এলাকায় ১০০ শতাংশই মানুষ কৃষিজীবী। গত বছর DVC র ছাড়া জলে বন্যায় কৃষকদের কয়েকশো বিঘা জমি জলের তলায় চলে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল কৃষকদের বাড়িঘর। ঘর ছাড়া হয়েছিল বহু কৃষক পরিবার। এবারও বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টির জেরে দফায় দফায় DVC জল ছাড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই দামোদর নদীর জলস্তর বাড়ছে। আর এতেই আতঙ্কিত এলাকার কৃষকরা।
গত বছরের ভয়ঙ্কর বন্যার স্মৃতি ফেরাচ্ছে তাদের চোখে মুখে। এবারো কি তাদের ঘরছাড়া হতে হবে? এই মুহূর্তে কৃষকদের মাঠ ভর্তি ভরা সবজি। মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন কৃষকরা। কেউ কেউ আবার ভাগ চাষী রয়েছে। এই মুহূর্তে কৃষকদের সবজির জমি জলের তলায় তলে গেলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কৃষকদের। কিভাবে এই ফসল রক্ষা হবে এই ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে তাদের। পাশাপাশি নদীর পার যাতে না ভাঙ্গে এবং ভাঙলে দ্রুত মেরামতের জন্য বালি দিয়ে বস্তা তৈরি করে রেখেছেন প্রশাসন। সকাল আটটার আপডেট অনুযায়ী দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৬৪১৫০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে প্রতি ঘন্টায়।
অন্যদিকে, আরামবাগের প্রাক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও নদীবাঁধগুলির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আরামবাগে এসেছিলেন রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনিশ জৈন। সাথে ছিলেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য,আরামবাগ মহকুমাশাসক রবিকুমার,সাংসদ মিতালি বাগ সহ একাধিক প্রতিনিধিদল। এদিন খানাকুলের বন্যাপ্রবন হিসাবে পরিচিত মাড়োখানা এলাকার নদীবাঁধগুলি পরিদর্শন করেন তারা। এদিকে এইসময় স্থানীয় মানুষ তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে প্রতিনিধিদল তাদের সাথে কথা বলেননি অভিযোগতুলে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গেল স্থানীয়দের। এদিকে প্রতিনিধিদলের আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়কও। তিনিও গ্রামবাসীদের দাবী সমর্থন করে রাজ্যসরকারের এই পরিদর্শনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। শেষমেষ পরিস্থিতি বুঝে তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়েন রাজ্য প্রতিনিধিদল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।