শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক মিলনেও জড়িয়ে পড়েন ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময়েই একাধিকবার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে রেখেছিলেন গৃহশিক্ষক।
গৃহশিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর প্রেম। সেই প্রেম গড়িয়ে গিয়েছিল ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত পর্যন্ত। সেই মুহূর্তের ছবি নিজের মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলেন ওই শিক্ষক। সম্পর্ক ভিন্ন দিকে মোড় নিলে ছাত্রী নিজের ছবি মোবাইল ফোন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখনই বেঁকে বসেন শিক্ষক। এরই ফলে নিজের জীবনে চরম সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেললেন ছাত্রী! ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে।
-
বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বাঁকড়া -গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বাঁকড়া গ্রামে নিজের পরিবারের সঙ্গে বাস করতেন ওই তরুণী। তাঁর নাম ছিল পায়েল সরকার, বয়স হয়েছিল ১৮ বছর। তেঁতুলিয়া শহিদ নুরুল ইসলাম কলেজের বাংলা বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। এলাকারই এক গৃহশিক্ষক অনুপ রায়ের সঙ্গে কয়েকমাস আগে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। প্রায়শই কথাবার্তা হত তাঁদের মধ্যে। পরবর্তী কালে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং তাঁরা ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক মিলনেও জড়িয়ে পড়েন ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময়েই একাধিকবার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে রেখেছিলেন অনুপ রায়।
-
শনিবার রাতে অনুপের সঙ্গে কোনও কারণে বিবাদ হয় ছাত্রীর। রবিবার সকাল থেকে তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করলেও তাঁর ঘোর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে স্বরূপনগর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, অনুপই ওই ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অনুপ রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।