
বহুবছর ধরে ডিএ মামলা চলেছে হাইকোর্টে। গত ২০২২ সালের ২০ মে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য রিভিউ পিটিশন দাখিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়।
এর মাঝে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলার মাঝেই আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য। আপাতত সরকারি কর্মীদের ভাগ্য ঝুলছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ডিএ নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। গত ৮ বছর ধরে বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে আইনি লড়াই চলছে। হাইকোর্ট পেরিয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে মামলা। উচ্চ আদালতে বিরাট জয় পাওয়ার পরও সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আর সর্বোচ্চ আদালতে বারংবার পিছিয়ে যাচ্ছে শুনানি। বহুবার ধরে এই একই জিনিস হয়ে চলেছে।
শেষবার এই মামলার শুনানির কথা ছিল গত ১৮ মার্চ। তবে সেবারও সময়ের অভাবে মামলা ওঠেনি সুপ্রিম কোর্টে। আর এভাবে বার বার মামলা পিছিয়ে পড়ায় যথেষ্টই হতাশ হয়ে পড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এরই মাঝে ডিএ মামলা করা কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় একটি ভিডিয়ো বার্তায় কিছু জিনিস স্পষ্ট করলেন।
ভিডিও বার্তায় মলয়বাবু বলেন, অনেকেই আমাদের সাথে ডিএ মামলার শুনানির দিনক্ষণ জানতে চেয়ে যোগাযোগ করছেন। অনেককে জবাব দিচ্ছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকলে বা অনেক সময় নজরে না পড়লে জবাব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে এতে আমরা আপনাদের এড়িয়ে যাচ্ছি একেবারেই এমনটা নয়।
তিনি আরও বলেন, কোনও সরকারি কর্মীকেই আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি না। আগামী ১৫ জুলাই সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গরমের ছুটির পর কোর্ট খুললে ১৫ জুলাই বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে। সেই তারিখেই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে তালিকাভুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলার ডিএ মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।