২৮ অগাস্ট ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি! বন্ধ থাকবে রাস্তাঘাট, স্কুল, অফিস, আদালত?
আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ডাক দিল বিজেপি। “ছাত্র সমাজের আন্দোলনে ছাত্রদের উপরে অত্যাচার করেছে পুলিশ” এমনই দাবি বিজেপির এর প্রতিবাদেই ২৮ তারিখ ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকলো বিজেপি।
আজ নবান্য অভিযানে রণক্ষেত্র কলকাতা। তুলকালাম চলছে নবান্ন পৌঁছানোর বিভিন্ন রাস্তায়। প্রথম থেকেই মিঠিল ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছিল একাধিক রাস্তা। প্রায় ৭ ফুট লম্বা ব্যরিকেড করা হয়েছিল নবান্নের সামনে।
কিন্তু মিছিল শুরু হতেই আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কাঁদানের সেল ছোঁড়ে পুলিশ। একাধিক জায়গায় লাঠি চার্জ করা হয়। জল কামান নিক্ষেপ করা হয় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে।
এর মধ্যেই ২৮ অগাস্ট ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিল বিজেপি। এ ছাড়াও একটি বিশেষ হেল্প লাইন নম্বর জারি করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। আহত ছাত্রদের মেডিক্যাল সাহায্য ও আইনি সাহায্যের জন্য এই হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করতে পারেন ছাত্ররা।
আরজিকর কাণ্ডে উত্তাল দেশ। বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল সাধারণ মানুষ। রাত দখলে নেমেছিল মেয়েরা।
মঙ্গলবার নবান্নে অভিযানে পথে নামেন ছাত্র সমাজ। আর তাতেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় হাওড়া তথা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত।
ছাত্র সমাজের আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ শহরের বিভিন্ন জায়গায়। হাওড়া ব্রিজে বিশাল ব্যারিকেডের সামনে জল কামান পুলিশের। কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যারিকড ভাঙল আন্দোলনকারীরা। ছোঁড়া হল কাঁদানে গ্যাস। হাওড়া ব্রিজের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। একের পর এক কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়া হল।
আন্দোলনকারীদের আটকাতে সমানে জল কামানের ব্যবহার করছে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে জাতীয় পতকা হাতে নিয়ে ব্যারিকেডের উপরে উঠল আন্দোনকারীরা। যাতে কোনও বাবে হাওড়া ব্রিজের উপরে আন্দোলনকারীরা উঠতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোণা এক্সপ্রেস ওয়েতে ক্ষোবে ফেটে পড়েছেন জনতা। কেন তাঁদের মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না তাই নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। বসে পড়েছেন মাটিতে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে রেলের পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। ব্যারিকেড ভাঙতে পাথর ছুঁড়ছেন সাধারণ মানুষ। সাঁতরাগাছিতেও ভয়াবহ পরিস্থিতি।
আন্দোলনকারীদের দাবি “নবান্নে যেতে দিতে হবে”। ফাটান হচ্ছে একের পর এক কাঁদানে গ্যাসের সেল। ইতিমধ্যেই এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটেছে বলে জানা গিয়েছে।