এবার সায়নী ঘোষের হাজিরা প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী অথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষেরও। শুক্রবারই সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডি অফিসারদের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজই ইডির দফতরে হাজরা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কুন্তল ঘোষের সঙ্গে রাজ্য সভানেত্রীর যোগসূত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা চলছে। এবার সায়নী ঘোষের হাজিরা প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
শুক্রবার বেলা ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ ইডির দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী অথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। প্রায় দু'ঘন্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তিনটে থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন,'বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি সায়নী সহযোগীতা করছেন না।' এই মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে পালটা দাবি করা হয়েছে,'ইডির দফতরের ভেতরে কী হচ্ছে সেটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানলেন কী করে?' পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন,'ভালোই তো প্রশ্ন আরও বাড়বে। দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাচ্ছে প্রশ্নমালা নিয়ে।'
সায়নী ঘোষ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৬৮ টাকা ৩২ পয়সা। এক অর্থবর্ষে এত টাকা রোজগার করা মানেই বোঝা যায় সায়নী ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে। এরই সঙ্গে রয়েছে মোটা টাকায় কেনা ফ্ল্যাট। ৩০ জানুয়ারি, দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি শুনেছি এক অভিনেত্রী তিনটি ফ্ল্যাট ভেঙে একটা বড় ফ্ল্যাট পেয়েছেন। জানতে চাই কে তিনি? এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই। তার সিনেমাও দেখতে চাই। অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে, ED কে হলফনামা পেশ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।