সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের জেরে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলেন বিজেপি বিধায়করা। পাশাপাশি অখিল গিরিকে মন্ত্রী পদ থেকে অবসারণেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে এবার অখিল গিরিকে পদ থেকে অপসারণের দাবিতে সরব বিজেপি। সোমবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাবও জমা দেন বিজেপি বিধায়করা। যদিও সেই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে বিধানসভার স্পিকার। তারপরেই বিধানসভা কক্ষে শোরগোল শুরু হয়। মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় বিধানসভা কক্ষেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয় পদ্ম শিবিরের বিধায়করা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল বিধায়করা।
সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের জেরে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলেন বিজেপি বিধায়করা। পাশাপাশি অখিল গিরিকে মন্ত্রী পদ থেকে অবসারণেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। সোমবার আদিবাসীদের পাঞ্চি উত্তরীয় ও দ্রৌপদী মুর্মুর স্টিকার পরে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করেদেন বিধানসভার স্পিকার। এরপরই বিধানসভার মধ্যেই চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকেন। অধিবেশনের প্রথমার্ধের শেষেই স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যান তাঁরা।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,'অখিল গিরি রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করেছেন। আমরা তাঁর বরখাস্তের দাবি জানিয়েছি। মুলতুবি প্রস্তাবও জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও আলোচনার সুযোগ না দিয়েই প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।' বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বললেন, 'রাষ্ট্রপতি আমাদের গর্ব। তাঁকে নিয়ে কুরুচিকর প্রস্তাবের প্রতিবাদেই আমরা মুলতুবি প্রস্তাব এনেছি।'
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বধায়ক অখিল গিরি রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন,'বলে দেখতে ভাল নয়, কী রুপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?' এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যরাজনীতিতে। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে বিধায়কের সাফাই শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে বারবার নিশানা করেছিল। বলেছিল, কাকের মত দেখতে। হাফমন্ত্রী- এজাতীয় মন্তব্যের জেরে মেজাজ হারিয়ে তিনি এই কথা বলেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি নিজে সংবিধানের লোক। রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে তিনি সম্মান করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অসম্মান করতে চাননি বলেও দাবি করেছেন। বলেছেন রাগের বশে মুখ ফসকে এজাতীয় মন্তব্য বেরিয়ে গেছে।
এর আগেও প্রকাশ্য সভায় শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অখিল গিরি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্য সভায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। বিরোধী দলনেতাকে তোপ দেগে তিনি বলেন,'শুভেন্দু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি করছে। মেরে ওর হাত ভেঙে দেব। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না বলে আমি চুপ আছি। না হলে ওর পাঁজর ভেঙে দিতাম। চুপ করে থাকি বলে সব সময় চুপ থাকব না। দলকে বাঁচাতে সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।'
আরঈ পড়ুন -
'ভাল থেকো লড়াকু মেয়ে', ঐন্দ্রিলাকে না চিনলেও তার জন্য আবেগতাড়িত পোস্ট জয়া আহসানের
Nepal Elections- নেপালে একই সঙ্গে সংসদ ও বিধানসভা নির্বাচন, জেনে নিন বিস্তারিত