'বাংলায় কতজন গাঁজাখোর রয়েছে?' জেলা ভিত্তিক তথ্য জানতে চেয়ে সংসদে প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের

Published : Jan 31, 2025, 09:51 AM IST
marijuana

সংক্ষিপ্ত

বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান রাজ্যের সবরকম মাদকাসক্তের বিষয়ই তথ্য চেয়েছেন সংসদে। পাশাপাশি আলাদা করে চেয়েছেন গাঁজাখোরদের সংখ্যাও। 

পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কতজন মানুষ গাঁজার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন? তথ্য জানতে চেয়ে সংসদে (Parliament) প্রশ্ন করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি (BJP) সংসদ সৌমিত্র খান (Soumitra Khan)। দেশের সমাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকেই তিনি এই প্রশ্ন করেছেন।। তাঁর প্রশ্ন ছিল,সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে গাঁজাখোরের সংখ্যা কত? এখানেই শেষ নয়, সৌমিত্র খান গাঁজাখোরদের জেলাভিত্তিক সংখ্যাও জানতে চেয়েছেন।

সাংসদে শুধু যে গাঁজাখোরদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন এমনটা নয়, বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান রাজ্যের সবরকম মাদকাসক্তের বিষয়ই তথ্য চেয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, নেশামুক্ত ভারত অভিযান - পশ্চিমবঙ্গে কতটা সফল তা বুঝে নেওয়ার জন্যই এই প্রশ্ন তিনি করেছেন। সৌমিত্র তিনটি প্রশ্ন করেছেন। প্রথম প্রশ্ন মাদকাসক্তদের জেলাভিত্তিক সংখ্যা কত? দ্বিতীয় প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গে মাদকের নেশা রুখতে নির্দিষ্ট কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে ও তার প্রভাব কেমন পড়ছে? তৃতীয় ও শেষ প্রশ্ন, মাদকাসক্তদের নেশামুক্তি, তাদের পুনর্বাসন ও মাদক বিরোধী প্রসায়ের পরিস্থিতি বাংলায় কেমন? তবে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট এই রাজ্যে মাদকাসক্তদের বেশিরভাগই গাঁজাখোর।

পশ্চিমবঙ্গে মদক কারবারের যে হিসেব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত ডিসেম্বর মাসে সংসদে পেশ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হোয়া মাদকের মধ্যে গাঁজার পরিমাণই সবথেকে বেশি। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাঁজার পরিমাণ আফিম, হেরোইন, কোকেন, চরস-সহ বাজেয়াপ্ত অন্য সব ধরনের মাদকের সম্মিলিত পরিমাণের সাড়ে ছয় গুণ। অমিত শাহের মন্ত্রক ২০১৮-১৯ সালের তথ্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে পেশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সে বছর পশ্চিমবঙ্গে গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ২৭ হাজার কেজির বেশি। বাকি সব বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কেটি।

সৌমিত্র জানিয়েছেন, 'এ কথা ঠিকই যে, আমি যাঁদের হিসেব চেয়েছি, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আসলে গাঁজার নেশা করেন। তবে সব রকমের মাদকাসক্তদের বিষয়েই জানতে চেয়েছি।' কেন এই প্রশ্ন- তারও জবাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেছেন, 'আমি চাইছি এই সব নেশা থেকেই মানুষকে দূরে রাখতে। তার জন্য নজরদারি প্রয়োজন। সরকারের নজরদারি কতটা রয়েছে, নজরদারিতে কী তথ্য উঠে এল, এ সব জানতে পারলে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।' তিনি আরও বলেছেন, নেশামুক্ত ভারত অভিযান বাংলায় কতটা রূপায়িত হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠাচ্ছে, তার কতটা সদ্ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলোও জানতে চান তিনি। তথ্য এলে বোঝা যাবে, জেলায় জেলায় বা এলাকাভিত্তিক ভাবে পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ