বিচার ব্যবস্থার অবমাননার অভিযোগে অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজের দাবি, স্পিকারকে চিঠি বিজেপির সৌমিত্র খানের

Published : Jul 15, 2023, 07:20 PM ISTUpdated : Jul 15, 2023, 07:21 PM IST
Soumitra Khan

সংক্ষিপ্ত

লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠি পোস্ট করেছেন তিনি। বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সংবিধানকে জোর করে দমন করছে তৃণমূল সরকার। 

রাহুল গান্ধীর মতই এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলে দিল বিজেপি। শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা নন্দীগ্রামের আহত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের গেখতে এসে বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খা। তিনি বলেন, ভারতের গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হল বিচারব্যবস্থা। আর সেই বিচারব্যবস্থাকেই আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠি পোস্ট করেছেন তিনি। বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে সংবিধানকে জোর করে দমন করছে তৃণমূল সরকার। সংবিধানের অস্তিত্ব আক্রান্ত হচ্ছে। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ কোর্টের বিরুদ্ধে যা মন্তব্য করেছে তা আদালতের অবমাননা। ' সেই কারণে অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজ করে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারকে লেখা চিঠিতে সৌমিত্র বলেছেন, আদালতের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে যা খুশি তাই বলছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আর সেই কারণেই অভিষেককে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

 

 

অন্যদিকে সৌমিত্র খানের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাদ তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রের খবর, সৌমিত্র প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তিনি কী করে সংবিধান রক্ষা করার কথা বলতে পারেন।

অভিষেকের মন্তব্যঃ

রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাইকোর্ট বিচাপতিদের একাংশ পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট দলকে সাহায্য করছে বিচারব্যবস্থা। অনেক বিচারপতি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। কিন্তু একাংশ বিজেপিকে সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছেন।'এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নন্দীগ্রামে বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার পরে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপি নেতাদের রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছেন। আর সেই কারণেই পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। অভিষেক বলেন হাইকোর্টের একাংশ যেভাবে মদত দিচ্ছে তা অত্যান্ত বেগনাদায়ক। তিনি বলেন স্বাধীনতার পরে এজাতীয় ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে। তিনি বলেন যাদের জেলে থাকা উচিৎ তাদের মদত দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের হাত বেঁধে দিয়েছে। অভিষেক বলেন হাইকোর্টের একাংশ যেভাবে মদত দিচ্ছে তা অত্যান্ত বেগনাদায়ক। তিনি বলেন স্বাধীনতার পরে এজাতীয় ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে। তিনি বলেন যাদের জেলে থাকা উচিৎ তাদের মদত দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের হাত বেঁধে দিয়েছে।

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

WB Weather Update: বঙ্গে শীতের ইনিংস শুরু, সপ্তাহ শেষে পারদ পতনের ইঙ্গিত? এবার কী শীতে কাঁপবে বঙ্গবাসী
১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি