হাওড়ার আমতায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা। এলাকায় একাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দোকান লুঠ করা হয়। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।
ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হওড়ার আমতা। অভিযোগ বিজেপিকর্মী সমর্থকদের মারধর করছে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত গুন্ডারা। শনিবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে হাওড়ায় যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়েই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবি জানান। একই সঙ্গে পুলিশকেও গ্রেফতারের দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়েরও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন আক্রান্তদের হাইকোর্টে নিয়ে যাবেন তিনি। দলের পক্ষ থেকেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, বিজেপির নেতা কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। দলের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ বিরোধী বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ৬টি দোকানে লুঠপাট চালিয়েছে। শুভেন্দু আরও বলেন, তৃণমূল আরও একটা বগটুই করতে চেয়েছিল। ছাড় নেই শিশুকন্যাদেরও। শুভেন্দুর অভিযোগ পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। পুলিশের কাছে গেলে প্রথমে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে তিনি গিয়ে জোর করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শুভেন্দুর অভিযোগ তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য এলাকায় বেড়া দিয়ে দিওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বেড়া টপকে ঢুকেছেন। তিনি বলেন তাঁকে আটকাতে আরপিএফও মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন এলাকায় সন্ত্রাস চলছে। কিন্তু জয়পুর থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জয়পুর থানাকে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন গোটা ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশ আর বিডিও। আর সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে আগেই গ্রেফতার করা উচিৎ। তিনি আরও বলেন, এলাকায় ভোট হয়নি। ভোট লুঠ করা হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোমরে দঁড়ি না পরানো পর্যন্ত শান্তি নেই।' তিনি আরও বলেন আক্রান্ত পরিবারগুলিকে দলের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু সাহায্য তিনি দিয়েছেন। বিশেষত খাবার আর বই কেনার টাকা তিনি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি এলাকার বিডিওর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন একটা বিডিওকেও ছাড়া হবে না। শুভেন্দু এলাকায় থাকার সময় একাধিকবার 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান ওঠে।
অন্যদিকে গতকালই সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহকেই হিংসার রিপোর্ট দিয়েছে। পাশাপাশি ভোটেরও রিপোর্ট দিয়েছেন। আগামী মাসে অমিত শাহ রাজ্যে আসবেন বলেও বিজেপি নেতাকে আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ
জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের, রবিবার থেকে অস্বস্তি কাটিয়ে প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ
'বিচারপতি মান্থা সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছেন', কলকাতা হাইকোর্টকে হুশিয়ারি অভিষেকের