ঘুষ বিতর্কে জল ঢেলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ফের একবার জয়ী হয়েছেন মহুয়া। মহুয়ার জয় হলেও কৃষ্ণনগর পুরএলাকায় তৃণমূল রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কৃষ্ণনগর শহর বরাবরই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া জয়ী হলেও লোকসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসতে দেখা গেল কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর পুরসভায় ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ শাসকদল তৃণমূলের জোর ভরাডুবি।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মানচিত্রে অনেকেরই নজর ছিল কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের দিকে। যেখানে একদিকে তৃণমূলের দাপুটে মহুয়া মৈত্র, অন্যদিকে বিজেপির রানীমার মুখোমুখি লড়াই। যদিও তা হাড্ডাহাড্ডি হয়নি। ঘুষ বিতর্কে জল ঢেলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ফের একবার জয়ী হয়েছেন মহুয়া। মহুয়ার জয় হলেও কৃষ্ণনগর পুর এলাকায় তৃণমূল রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কী কারণে এই ভাবে পিছিয়ে পড়তে হল বিজেপির কাছে সেই কারণ বিশ্লেষণে চলছে ময়নাতদন্ত। ওদিকে কৃষ্ণনগর শহরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ দত্ত প্রদীপ দত্ত নিজের ঘাড়ে সব দোষ নিলেও তার একার ভুলে এতটা খারাপ ফল হয়েছে, একথা মানতে নারাজ তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস রায়। উল্টে তিনি বলেন, ‘দায় সকলের।’
তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, “শহরের সভাপতি সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কোনো কারণে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি। তিনি একার ওপর দোষ নিলেও দায়টা সামগ্রিক। অন্যান্য নেতৃত্ব, কমিটি আছে। এই হারের দায় সকলেরই।”
তার সংযোজন, ‘তৃণমূল সরকারের সবকটা প্রকল্পের সুবিধা পান কৃষ্ণনগরের মানুষ। মানুষ কেন এভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন জানি না।” যদিও বিজেপি তরফে দাবি, এখানে তৃণমূল পেশিশক্তি খাটাতে পারেনি। যেখানে পেরেছে সেখানেই জিতেছে। কৃষ্ণনগর শহরের মানুষ নির্বিঘ্নে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ের পরও শহরের ফলাফল নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে শাসকদলের। সূত্রের খবর, এই হারের ভার নিজের ওপর নিয়ে পদ থেকে সরে আসতে চেয়েছেন প্রদীপ দত্ত। ইতিমধ্যেই তিনি জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগ পত্রও জমা দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।