প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালনায় সমিতির নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছে বিজেপি।
আবারও শুভেন্দুর নাস্তানাবুদ হতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রেও হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার হার মানতে হল সামবায় নির্বাচনে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের হরিপুরের প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালনায় সমিতির নির্বাচনে গোহারান হারতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে।
প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালনায় সমিতির নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছে বিজেপি। এই সমবায় নির্বাচনে ১২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। আর বামেরা লড়েছিল ৩টি আসনে। কিন্তু এখানে গেরুয়া শিবির সকলকেই টেক্কা দেয়।
১৯৬৩ সালে এই সমবায় তৈরি হয়। এই প্রথম নির্বাচন হল। এতদিন পর্যন্ত পরিচালন সমিতির সদস্যদের মনোনীত করা হত। এই সমবায়ের মোট ভোটার ৬৬০।
সমবায় ভোট নিয়েও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। সমবায় নির্বাচনে জয় পেয়ে বিজেপি কর্মীরা বিজয় উৎসবে মেতে ওঠে। সেই সময়ই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি বাধে। পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। বিজেপি সূত্রের খবর কী কারণে গ্রেফতার তা জানায়নি পুলিশ। বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। ফল ঘোষণার পরই বিজেপির কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তিনি আরও অভিযোগ করেন তৃণমূল ভোটে হেরে যাওয়ার পরই অতিসক্রিয় হয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির এক কর্মী জানিয়েছেন, তারা এভাবেই তৃণমূলের ঔদ্ধত্যের জবাব দেবেন। লড়াই চালিয়ে যাবেন। বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই ভোট প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। রণকৌশলও ঠিক হয়েছিল বিজেপি নেতার নির্দেশে।