এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন ২০২২ সালের বিধানসভায় এই নিয়ে বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজভবন থেকে এখনও বিল পাশ না হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত। ফের একবার প্রকাশ্যেই রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সিভি আনন্দ বসুকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোর আচার্য হিসেবে মানেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছিল দিলেন ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় পরির্দশনে বেরিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকে বারাসাত এমনকি গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি রাজ্যপালকে নিশানা করেন তিনি। এমকি রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মানেন না বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়,'আমার কাছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নৈতিক আচার্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।' এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন ২০২২ সালের বিধানসভায় এই নিয়ে বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজভবন থেকে এখনও বিল পাশ না হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
শুক্রবার দুপুরে বি আর আম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দিতে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই দিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যপালের অনুদানের ঘোষণাও নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ব্রাত্য বসু জানান,'যে অনুদান রাজ্যপাল ঘোষণা করেছেন সে তো সরকারি টাকা। তাহলে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করে কী ভাবে একের পর এক ঘোষণা করছেন তিনি?' শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয় রাজ্যপালকে ফোনও করেন। তবে রাজ্যপাল ফোন তোলেননি বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন তিনি। পাশাপাশি চিঠি প্রত্যাহার করার দাবিও জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সমালোচনায় সরব শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি রাজ্যপালের দেওয়া কিছু নির্দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজভবন বনাম নবান্ন সংঘাত। এই নির্দেশ নিয়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিঠিও পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। এই চিঠির বৈধতা নিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ শানালেন ব্রাত্য বসু। এমনকী গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের মতো প্রাক্তন রাজ্যপালদের সঙ্গে সি ভি আনন্দ বোসের তুলনাও করলেন তিনি।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে বলে একটি নির্দেশ জারি করেন রাজ্যপাল। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিষয়ের রাজ্যপালের আগাম অনুমতি নিতে হবে উপাচার্যদের। এই নির্দেশিকার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতর সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে কীভাবে এমন চিঠি পাঠানো যায় সে বিষয় প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন -
অসমের মাটিতে দাঁড়িয়ে ১৪,৩০০ কোটি টাকার উপহার প্রধানমন্ত্রী মোদীর, উদ্বোধন একাধিক প্রকল্পে
তীব্র গরমে ফুটছে বাংলা, ঠাণ্ডা থাকবেন কীভাবে? বিশেষ পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়