রাজ্যে পথদুর্ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলে রাজ্য প্রশাসন। সেই সময়ই বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাস মালিকদের একাংশ।
পথদুর্ঘটনা রুখতে বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য প্রশাসন। আর সেখানেই আবারও উঠল বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবি। অন্যদিকে পথদুর্ঘটনা নিয়েও রীতিমত তর্কাতর্কি হয় বাস মালিকদের সঙ্গে। তেমনই বলছে একটি সূত্র।
রাজ্যে পথদুর্ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলে রাজ্য প্রশাসন। সেই সময়ই বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাস মালিকদের একাংশ। সংগঠনের তরফ থেকে তপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'কেন্দ্র তো রোজ পেট্রোল ডিজেল দাম বাড়াচ্ছে। রাজ্য সরকারের তো গৌরি সেন আছে। আমাদের কিছুই নেই।' বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা যাবে। সঙ্গে কমিশন প্রথার বিলোপের দাবি উঠেছে। পরিবহনকর্মীদের বেতন চালু করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে এই বৈঠকে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে কমিশন প্রথা শুরু মাত্র দুই ২৪ পরগনা আর কলকাতায় রয়েছে। তাহলে অন্যন্য জায়গায় পথদুর্ঘটনা হচ্ছে কেন। পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাস মালিকরা। বাস মালিকরা বলেন, মানুষ রাস্তা দিয়ে চলতে বাধ্য হয় যে শহরে , সেখানে অ্যাক্সিডেন্ট হবেই। বাস মালিকরা জনিয়েছেন, 'যৌন শিক্ষা যদি বাধ্যতামূলক হয় তাহলে ট্রাফিক এডুকেশন চাই।' মহিলারা স্কুটিতে বাচ্চাদের নিয়ে হেলমেট ছাড়াই যাচ্ছে। দুর্ঘটনা কমাতে যা যা করার দরকার সেটা সবাইকেই মানে হবে। শুধু জরিমানা করে দুর্ঘটনা কমানো যায় না। কারণ জরিমানা বাসের মালিককে দিতে হয়। বাস মালিকরা সচেতনতা বৃদ্ধিরও দাবি করেন।
এদিন বাস মালিকরা আবারও ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, ২০১৮ সালে শেষবারের মত বাস ভাড়া বেড়েছিল। তারপর একাধিকবার বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি উঠেছিল। বাস মালিকদের দাবি গত ৭ বছর বাস ভাড়া বাড়েনি। এবার বাস ভাড়া বাড়াতে হবে। বাস মালিকরা বলেছেন, 'গত ৭ বছর ভাড়া বাড়েনি। গাড়ি তো জলে চলবে না। গাইডলাইন ঠিক লে আমরা সব মেনে নেব। '
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।