
ছাড় পেল না রাজার শহরও। রাজ্যের অন্যান্য কলেজের মতো অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজার কলেজে। অভিযুক্ত সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে খবরে উত্তরপাড়া রাজা প্যরীমোহন কলেজ। সুনামধন্য এই কলেজেও কর্মী নিয়োগে উঠল স্বজনপোষণের অভিযোগ।
কসবা আইন কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন মনোজিৎ মিশ্র। আর হুগলির এসএফআই-র দাবি, ২০১১ সালের পর উত্তরপাড়ার রাজা প্যরীমোহন কলেজে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রায় দশ নেতা-নেত্রী-কর্মীকে।
চাকরি পেয়েছেন টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ঝুমা ধাড়া, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছাত্র সংসদ সৌভিক মণ্ডল, অনাদি রায়, প্রাক্তন কালচারাল সেক্রেটারি সৌত্রিক লাহিড়ি, প্রাক্তন ইউনিট সেক্রেটারি নীলাদ্রি পাল, কলেজ ইউনিটের প্রাক্তন সদস্য কৃশানু ঘোষাল, বিশ্বজিৎ প্রামণিক, দীপ দাস, মহিলাদের প্রাক্তন কমন রুম সম্পাদক রিয়া রায় এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি ও যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ মুখোপাধ্যায়।
উত্তরপাড়ার রাজা প্যরীমোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা উত্তরপাড়া বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক শ্রুতিনাথ প্রথরাজ এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ভয় সিন্ডিকেটকে পাকাপাকি চালু রাখা, এর পিছনে তো একটা কারণ আছে, অর্থ। পরিষ্কার বলছি, অর্থ। অনৈতিক উপায়ে অর্থ উপার্জন, তার দখলদারি…।
রাজ্য SFI-র নেতা বাদশা দাস এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা একটা নিশ্চিত উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে উত্তরপাড়া কলেজের নেতা হবে তাঁকে উত্তরপাড়া কলেজের বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস অস্থায়ী কাজ দেয়। এরকম হাজার হাজার মনোজিৎ উত্তরপাড়া কলেজের অভ্যন্তরে রয়েছে।’
এই উত্তরপাড়া কলেজের গর্ভরনিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি এগুলো কিছু জানি না। ২০২১-এ আমি যখন দায়িত্বভার পেয়ে এসেছি, তখন আমি… এর আগেরগুলো কিছু জানি না। এরপরও আমি বলছি, যদি সেগুলো হয়ে থাকে জিবি-র মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত নেব।’