চোপড়ায় সালিশি বসিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জেসিবি নির্যাতিতা ও তাঁর সঙ্গে থাকা তরুণকে রাস্তার ওপর মারধর করেন। এই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সেলিম ও অমিত মালব্য।
চোপড়াকাণ্ডে এবার বিপাকে সিপিএম ও বিজেপির দুই নেতা। নির্যাতিতা নিজের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করেছেন। সরাসরি এফআইআর দায়ের করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে। চোপড়া থানাতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
চোপড়ায় সালিশি বসিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জেসিবি নির্যাতিতা ও তাঁর সঙ্গে থাকা তরুণকে রাস্তার ওপর মারধর করেন। সেই ঘটনার ভিডিও হয়। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও পোস্ট করেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। দুজনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। কিন্তু এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার প্রতিবাদে গত ১ জুলাই চোপড়া থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। সেখানেই তিনি মহম্মদ সেলিম ও অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে অফিআইআর দায়ের করেন।
গত ৩০ জুন, চোপড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা জেসিবিকে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে দাদাগিরি করতে দেখা গিয়েছে। সেই ঘটনা অনেকেই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর মহিলা তাঁর স্বামী সংসার ছেড়ে এক তরুণের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। আর সেই কারণে সালিশি সভা বসিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। আঁচ পড়ে রাজ্যের বাইরেও। চাপ বাড়তে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ওপর। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জেসিবিকে। কিন্তু বর্তমানে মহিলার অভিযোগ, তিনি চাননি তাঁর নির্যাতনের কাহিনি প্রকাশ্যে আসুক। সেই কারণেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু এি ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক বা শাসকদলের চাপ রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।