প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে বড় ঘোষণা হাইকোর্টের। তাদের বদলির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে হবে অফলাইনেই।
প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে বড় ঘোষণা হাইকোর্টের। তাদের বদলির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে হবে অফলাইনেই।
প্রসঙ্গত, অনলাইনে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ হয়ে রয়েছে উৎসশ্রী পোর্টাল। ফলে, দীর্ঘদিন ধরেই বদলির বিষয়টি নিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই বদলি সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েই আদালতের দ্বারস্থ হন এক শিক্ষিকা।
এই মামলায় এবার নতুন করে নির্দেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন এবার অফলাইনে দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হল। উল্লেখ্য, উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকার দরুণ, একাধিক শিক্ষকের বদলি আটকে ছিল। সেই কারণেই, বোর্ডকে এবার অফলাইনে আবেদন বিবেচনা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
অর্থাৎ, প্রাথমিকে শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকার যুক্তি আর কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, তামান্না বেগম নামে এক শিক্ষিকার বদলির আবেদনের মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের সব বদলির আবেদন অফলাইনেই বিবেচনা করতে হবে বোর্ডকে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে পোর্টাল বন্ধ থাকায় সমস্ত বদলি আটকে ছিল। ফলে, সেই সমস্যার সমাধান হল বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।
প্রায় তিন বছর উত্তর দিনাজপুরের প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত রয়েছেন শিক্ষিকা তামান্না বেগম। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ওই শিক্ষিকার বছর পাঁচেকের মেয়ে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভুগছে বহুদিন ধরে। সেই কারণ দেখিয়ে তিনি বীরভূমে নিজের বাড়ির কাছে বদলির আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বোর্ড। তারপরেই তিনি মামলা করেন হাইকোর্টে।
সেই মামলায় বিচারপতি মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন বোর্ডকে। পাশাপাশি, প্রাথমিকের সব বদলির আবেদন অফলাইনেই বিবেচনার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের উৎসশ্রী পোর্টাল আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে উৎসশ্রী পোর্টালের আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার কারণে, বিষয়টি আটকে ছিল দীর্ঘদিন। চলতি বছরের শুরুতেই বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, স্কুলশিক্ষা কমিশনার এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে বিষয়টি নিয়ে একবার দরবার করে।
তারা দাবি জানায়, উৎসশ্রী পোর্টাল চালু থাকাকালীন হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক-শিক্ষিকা কম থাকার জন্য অনেককেই বদলি করা হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো একাধিক জেলাতে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলি হতেই পারেননি। এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই বিষয়টি নিয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।