মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নবান্নের রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্বাস্থ্য বৈঠক। সেখানেই বড় ঘোষণা মমতার। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির প্রিন্সিপাল ও সুপারদের সঙ্গে এদিন বৈঠকে মমতা জানিয়েছেন এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অধ্যক্ষ বা সুপার। কমিটিতে একজন করে জুনিয়র ডাক্তারও থাকবেন। রোগী কল্যাণ সমিতিতে থাকবেন হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার , নার্স ও জনপ্রিতিনিধি।
জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবনের ধর্না মঞ্চে গিয়েই মমতা ঘোষণা করেছিলেন তিনি সরকার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। তারপর এদিন নিজে হাতেই আবার নতুন করে তৈরি করে দেন সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরই রোগী কল্যাণ সমিতির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নবান্নের রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। সেখানেই বড় ঘোষণা করেন মমতা।
আরজি কর হাসপাতালের পর থেকেই চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিকেও জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি নিজে পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, হাসপাতালের নিরাপত্তায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রিন্সিপাল ও সুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বায়েমেট্রিক চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে রাখতে হবে হাসপাতালে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার, বিল্ডিংয়ের কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিকদের সকলের নথি। সব মিলিয়ে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে মরিয়া রাজ্য।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।