নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল এবার পাহাড় সফরে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে যাচ্ছিলেন মমতা। বেশি প্রাধান্য পাবে বিনিয়োগ এবং চা শিল্প।
সোমবারই তিন দিনের সফরে দার্জিলিং যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবারই বাগডোগরা বিমানবন্দরে ঢোকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এদিন সকালেই দার্জিলিং জেলা প্রশাসনকে মমতার সফর বাতিলের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। তবে এই সফর বাতিল হলেও শীঘ্রই পাহাড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে এই সফর বাতিল করলেন তিনি তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাংলার প্রচুর মানুষের। শনাক্তকরণের পর সেখান এবার রাজ্যে পৌঁছচ্ছে সেই সকল মৃতদেহ। সেই কাজের তদারকির জন্যই এইবারের মতো উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছেন মমতা।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল এবার পাহাড় সফরে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে যাচ্ছিলেন মমতা। বেশি প্রাধান্য পাবে বিনিয়োগ এবং চা শিল্প। দার্জিলিং-এ শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন তিনি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী বুধবারই ভানু ভবনে হবে এই বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের একাধিক প্রথমসারির শিল্পপতিরা। থাকবেন শিল্প দফতরের সচিবরাও। শুধু তাই নয় জিটিএ প্রধান অনীত থাপারও উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে। সোমবার দার্জিলিং পৌঁছলেও মমতার মঙ্গলবারের কর্মসূচি এখনও ঠিক হয়নি। তবে বুধবারের বৈঠকের সূচি ইতিমধ্যেই ঠিক হয়েছে। পাহাড়ে বিনিয়োগে মমতার প্রস্তাবে রাজিও হয়েছেন অনেক শিল্পপতি বলে জানা যাচ্ছে। ২০২৪-এর আগে মমতার এই 'রাজনৈতিক সফর' যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের মাথা চারা দিচ্ছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন বিমল গুরুং-ও। ফলত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বড় ইস্যু হতে পারে পাহাড়। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে শিল্প, বিনিয়োগের অস্ত্রেই শান দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর বুধবারের বৈঠকে রাজ্যে বিনিয়োগের খবর তুলে ধরার পাশাপাশি পাহাড়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী সরকারি সুযোগ সুবিধা মিলবে সে বিষয়ও আলোচনা কতা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগেও পাহাড় সফরে গিয়ে সেখানে বিনিয়োগের কথা বলেছেন তিনি। এবার সেই কথা রাখতেই চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার দুপুর নাগাদ উত্তরবঙ্গে পৌঁছবেন তিনি। উল্লেখ্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাহাড়ের মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা বুঝতে বারবার সেখানে ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও মূলত পাহাড়ে শিল্পের বিকাশ ও উন্নতি প্রসঙ্গেই একাধিক বৈকের লক্ষ্যে সেখান যাচ্ছেন মমতা।