
বানভাসি হুগলির পর এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। প্লাবিত এলাকায় দাঁড়িয়ে তিনি ঘাটালের জন্য নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন. তিনি বলেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরই ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কাজ করবে রাজ্য সরকার। এদিন মমতা কেন্দ্রীয় সরকারকেও একহাতে নেন। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য তিনি দায়ী করেন কেন্দ্রের অধীনে থাকা ডিভিসিকে।
মমতা বলেন, 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করেনি। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার প্ল্যানের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।' মমতা আশ্বাস দিয়েছেন বর্ষার পরই কাজ শুরু হবে। ঘাটালের পরিস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলা নদী মাতৃক দেশ। নেপালে বৃষ্টি হলে উত্তরবঙ্গ ভেসে যায়। ডিভিসি পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়া হলে প্লাবিত হয় দক্ষিণবঙ্গে।' তিনি বলেন, এভাবে বন্যা হলে মানুষের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই রাজ্যেরও ক্ষতি হয়। রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রচুর পরিমাণে খরচ হয়। বন্যা জল জমার মত সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য তাঁর সরকার ৫ লক্ষ টাকার পুকুর কাটিয়েছে। এরপরেই এই পরিস্থিতির জন্য় মমতা আক্ষেপ করেন। তিনি সরাসরি ডিভিসিকে দায়ী করেন।
মমতা ডিভির দিকে া আঙুল তুলে বলেন, এবার ডিভিসি জল ছা়ড়ার সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তিনি বলেন, 'কেন তারা ড্রেজিং করে না ?' মমতার কথায় ডিভিসি ২০ বছর ধরে ড্রেজিং করেনি। বর্ষা হলেই জল ছেড়ে দেয়। তিনি বলেন, ড্রেজিং করলেই ডিভিসির জলধারণের ক্ষমতা ১০ হাজার কিউসেক মেট্রিক টন বেড়ে যাবে। তিনি বলেছেন, ডিভিসির জল আটকাতে প্রয়োজনে কিছু বাঁধ তৈরি করা হবে। তা দিয়েই জল আটকান হবে। মমতার অভিযোগ বন্যা হলে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসম ও বিহার কেন্দ্রের থেকে অর্থ সাহায্য পায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পায় না।